চরাঞ্চলের মানুষের মনে আতঙ্কের নাম সাইক্লোন ‘সিডর’। যা ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশের উপকূলীয় জেয়া বরগুনায় ব্যাপক আঘাত হানে। তখনকার সময় সিডরের প্রভাবে স্বাভাবিক পানির উচ্চতার চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ডুবে গেছে বসত বাড়ি, গাছ পালাসহ মারা গেছে অসংখ্য মানুষ ও গভাদি পসু। দীর্ঘ ১২ বছর পর ভয়াবহ সেই স্মৃতি ভুলতে না ভুলতেই চলে আসলো ঘূর্ণিঝড় ফণী। আজ শুক্রবার মধ্য রাত থেকে বরগুনায় হালকা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া সাথে সাথে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আবাহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, যেকোনো সময় আঘাত হানতে পারে উপকূলে।
সরজমিনে দেখা যায় বরগুনা সদর উপজেলার ফুলতলা আশ্রায়ন প্রকল্পের শতাদিক নারী পুরুষ গতকাল রাত থেকে আতংকে র্নিঘুম রাত কাটিয়েছে। কখন বর্নায় তাদেরকে বাসিয়ে নিয়ে যায়। আশ্রায়নের পাশেই রয়েছে শাইকোলন সেল্টার। ওই শাইসকোলন সেল্টারে দারন ক্ষমতার চেয়ে আশ্রায়নে দ্বিগুন লোক সংখ্যা রয়েছে। অতি সনিকটে খাকদন নদী। নেই কোন বেরিবাধ। দুপুরের জোয়ারে আশ্রায়নের ঘর পানিতে ছুই ছুই ভাব। আশ্রায়নের নারী পুরুষ বন্যার আতংকে আজ সারা দিন কাজ কর্মে জেতে পারেনি।
বরগুনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, শুধু সাইক্লোন শেল্টার-ই নয়। মানুষের জীবন ও জানমাল রক্ষা করতে সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ভবনও প্রস্তুত করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় বারবার মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে ‘নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বরগুনায় ৩৩৫টি সাইক্লোন শেল্টার খুলে রাখা হয়েছে। এতে অন্তত ২ লাখ মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হলে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ২২৬ বান্ডিল ঢেউটিন, ৪২৩ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য, নগদ ১৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা, দুই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।