আগৈলঝাড়ায় দেবরের বিরুদ্ধে ভাবীর ধর্ষণ মামলা দায়ের। থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ আদালতের। আদালতে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার বাদী এইচএসসি পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেন, উত্তর শিহিপাশা গ্রামের সৈয়দ জিল্লুর রহমানের ছেলে সৈয়দ বখতিয়ারের সাথে ২০১১ সালের ১৭ মে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পরে বাদীর উপর কু-দৃষ্টি পরে তার দেবর সৈয়দ রাজীবের। বিষয়টি বাদী স্বামী ও শ্বশুর শাশুরীকে জানালেও তারা এ বিষয়ে কোন ভ্রূক্ষেপ করেনি। এরই মধ্যে বাদীর কাছে তার স্বামী যৌতুক দাবী করায় মামলা দায়ের করা হয়। যৌতুক মামলা দায়েরের এর পর থেকেই বাদী তার বাবার বাড়ি এসে থাকতে শুরু করেন। যৌতুক মামলা প্রত্যাহারের অযুহাতে দেবর রাজীব প্রায়ই বাদী ভাবীর বাড়ি যাতায়াত করত। বাদীর বাড়ি যাতায়াতের সুযোগে গত ২৭ মার্চ রাতে বাদী বাড়িতেএকা থাকার সুযোগে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে দেবর রাজীব।
ধর্ষণের কারণে বাদী অসুস্থ হয়ে পড়লে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি হন তিনি। চিকিৎসকেরা তার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করে বাদীকে মামলা দায়েরের পরামর্শ দিলে সেখানে পাঁচ দিন চিকিৎসা গ্রহন শেষে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার জন্য বাদী বাড়ি ফিরে বৃহস্পতিবার বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে দেবর রাজীবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন (এমপি-৬০)। আদলতের বিজ্ঞ বিচারক আবু শামীম আজাদ বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে আগৈলঝাড়া থানাকে এজাহার গ্রহন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
আগৈলঝাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আফজাল হোসেন জানান, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে শুক্রবার সকালে বাদীর অভিযোগ হাতে পেয়ে তিনি মামলা রেকর্ড করেছেন। আগৈলঝাড়া থানার মামলা নং-৩ (৫.৪.১৯)। আসামী গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।