'বদলে ফেলা হবে রাজধানীর সমস্ত পুরানো গ্যাসের লাইন'

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার ২রা মার্চ ২০১৯ ১১:৪৪ অপরাহ্ন
'বদলে ফেলা হবে রাজধানীর সমস্ত পুরানো গ্যাসের লাইন'

রাজধানীর আবাসিকসহ সব ধরনের পুরানো গ্যাস পাইপ লাইন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পুরানো পাইপ লাইন সরিয়ে নতুন করে পাইপ স্থাপন করতে এরইমধ্যে ১২০০ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। শনিবার (২ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই উদ্যোগের কার্যকর ফল পেতে বিভিন্ন সেবা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় জরুরি। মাথায় রাখতে হবে ঝুঁকির বিষয়টি। বিশ্বের অন্যতম মেগাসিটি রাজধানী ঢাকায় প্রায় ২৮ লাখ সংযোগ রয়েছে পাইপ লাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস দিয়ে দৈনন্দিন গৃহস্থালির জ্বালানি চাহিদা মেটানোর জন্য। কিন্তু পাইপ লাইনের জটিলতায় অনেকসময়ই যেমন চুলায় ঠিকঠাক গ্যাস মেলে না, তেমনি পাইপ লাইনে লিকেজের কারণে হুটহাট ঘটছে অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ ঘটনা। ত্রুটি সারাতে বন্ধ রাখতে হয় সড়কের যান চলাচল পর্যন্ত। রাজধানী ঢাকায় আবাসিক খাতে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার শুরু হয় ৬৮ সালে। মুক্তিযুদ্ধ শেষে ৭৫ পরবর্তী সময়ে ব্যাপক হারে সংযোগ বাড়তে থাকে ঢাকা মহানগরীতে। তিতাসের হিসেব বলছে বিপুল পরিমাণ চাহিদার বিপরীতে বাড়ানো হয়নি পাইপ লাইনের সক্ষমতা। কমবেশি ১৫০ টি জোন রয়েছে যেসব এলাকায় স্বল্প চাপের ভোগান্তি প্রায় বছরজুড়েই।

গ্যাস বিতরণ ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে এবার পুরানো পাইপ লাইন সরিয়ে নতুন করে পাইপ স্থাপনের বড় প্রকল্প নিয়েছে সরকার। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১২০০ কোটি টাকার এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিশ্চিত হবে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এই প্রকল্পটি আগামী তিন বছরের। এটি শেষ হলেই আমরা বলতে পারবো নতুন কোথায় সংযোগ প্রদান করা যাবে। তবে সরকারের এই উদ্যোগকে কার্যকর করতে সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এই কাজের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতির তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোথায় গ্যাস লাইন বসালে সব গ্রাহক সেটার সমান সুফল পাবেন তা নির্ধারণ করা খুবই কঠিন কাজ এবং এতে প্রচুর দক্ষতার প্রয়োজন। একই সাথে এ কাজে প্রচুর ঝুঁকিও রয়েছে। নিরাপত্তা সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত করে এ লাইন পরিবর্তন করতে হবে। এলএনজির মতো আমদানি করা দামি জ্বালানি ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কবলে পড়ে যাতে লোকসান না হয়, সেই বিষয়টিও হিসেবে রাখতে বলছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব