প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:৪৭
নারায়ণগঞ্জে মসজিদ কমিটি ও মসজিদের জমাকৃত টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সোমবার দিবাগত রাতে দক্ষিণ নলুয়া পাড়ায় দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলায় নাসিক ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবীর হোসাইন ও সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নাসহ ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সবাইকেই আদালতে প্রেরণ করা হলে আসামীদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় উভয় গ্রুপের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে একে অন্যের উপর হামলা করে। এতে অন্তত ২০/২৫ জন আহত হয়। সংঘর্ষের পর কাউন্সিলর কবীর হোসাইন ও কামরুল হাসান মুন্নার পক্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার সূত্রধরে সদর মডেল থানা পুলিশ সোমবার ভোরে নিতাইগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন। কামরুল হাসান মুন্না বর্তমানে মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক। স্থানীয়রা জানায়, বর্তমান কাউন্সিলর কবীর হোসেন ও সাবেক কাউন্সিলর কামরুল ইসলাম মুন্নার মধ্যে বহুবছরের পুরোন বিরোধ চলছে। আর কামরুল ইসলাম মুন্না দীর্ঘ ৬ বছর ধরে একক ক্ষমতায় স্বঘোষিত সভাপতি হয়ে মসজিদের নিয়ন্ত্রন করে আসছে। মসজিদের আয়-ব্যায়ের হিসাব নিয়ে একাধিকবার এলাকাবাসী ও মুসল্লিদের সাথে কথা দিয়েও বুঝিয়ে দেননি মুন্না। এ নিয়ে কাউন্সিলর কবির ও মুন্নার লোকজন ফুঁসে উঠে। এর জের ধরেই এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এর আগে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমানের দেয়া অনুদানের টাকা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিলো। সাংসদ কত টাকা অনুদান দিয়েছেন তা এলাকাবাসীর কাছে স্পষ্ট করেননি মুন্না। অভিযোগ উঠেছে ওই টাকার হিসাব জানতে চাইলে ওই সময়ে মসজিদে নিয়োজিত মুফতি মাও. রহমানকে মসজিদ থেকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়। গত ৩ সপ্তাহ আগে জুম্মার নামাজের পর মসজিদের সাবেক সভাপতি মো. আলী ফালু সর্বশেষ মসজিদ ফান্ডের ১৫ লাখ টাকার হিসাব জানতে চান। যেহেতু ওই টাকা মসজিদের ব্যাংক হিসাবে জমা নেই।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব