রাজধানীতে গতকালের ন্যায় আজও ধানমন্ডি, জিগাতলা, গ্রিন রোড, শংকর, শ্যামলী, মিরপুর, আসাদগেট এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বিঘ্ন ঘটেছে। অনেক পরিবার সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে চুলা ধরাতে গিয়ে দেখে গ্যাস নেই। ফলে সকালে নাস্তা তৈরি করাও সম্ভব হয়নি। অনেকে রেস্তোরাঁ থেকে নাস্তা এনে খেয়েছেন। কাউকে শুকনো খাবারের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। গ্রিন রোড এলাকার গৃহিণী রীনা জেসমিন জাগো নিউজকে বলেন, সকালে গ্যাসের চুলা ধরাতে গিয়ে দেখি গ্যাসের স্বাভাবিক চাপ নেই। টিপ টিপ করে যে ভাবে জ্বলছে তাতে রান্না করার মতো অবস্থা নেই। ফলে শুকনো খাবার খেয়ে নাস্তার কাজ সেরেছি। গতকালও একই অবস্থা হয়েছিল।
মিরপুরের বাসিন্দা জিহাদ সাহেব বলেন, গত দুদিন ধরে প্রচন্ড সমস্যায় আছি। আজও সকালে নাস্তা কিনে খেয়েছি। গ্যাস না থাকার কারণে পরোটা আনতে গিয়ে দেখি সেখানে লম্বা লাইন। প্রায় এক ঘণ্টা পর ১০টি পরোটা পেয়েছি। সাড়ে ১০টার পরে যারা গেছেন তারা নাস্তাই পাননি। টালি অফিস মোড়ে বসবাস করেন আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, গতকাল শনিবার খবরে শুনেছিলাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। কিন্তু ৩০ ঘণ্টায়ও কোনো খবর হলো না। সাভারের আশুলিয়ায় পাইপ লাইনে ত্রুটির কারণে গত শুক্রবার থেকে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। দুর্ভোগে পড়া এসব মানুষকে আশ্বস্ত করে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি (জিটিসিএল) জানিয়েছে ত্রুটি মেরামতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। রোববার সকাল ৮টার দিকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানিয়েছিল জিটিসিএল কিন্তু বেলা ১১টা পর্যন্ত তা স্বাভাবিক হয়নি। এ পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছে সংস্থাটি। গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মো. আল মামুদ বলেন, আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।