এসএসসি পরীক্ষার্থীর নির্যাতনকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ,উপজেলা প্রতিনিধি কালকিনি (মাদারীপুর)
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৭ই জানুয়ারী ২০১৯ ০৪:৫৭ অপরাহ্ন
এসএসসি পরীক্ষার্থীর নির্যাতনকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

(মাদারীপুর) প্রতিনিধিঃবাল্য বিয়ে মেনে না নেয়ায় মাদারীপুরের কালকিনিতে শুকতারা আক্তার-(১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে প্রথমে নির্যাতন শেষে পরে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এঘটনার প্রতিবাদে ও নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমুলক বিচারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মানববন্ধন করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ মানববন্ধন কর্মসুচিতে প্রথমে থানা পুলিশ বাধা প্রদান করে। পরে শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে সহপাটির নির্যাতনকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে ও মানববন্ধন করে। এছাড়া  বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা এ মিছিল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সামনে বেশ কিছু সময় অবস্থান করেন। 

ভুক্তভোগীর পরিবার সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার সাহেবরামপুর এলাকার সাহেবরাপুর গ্রামের সালাম আকনের বড় ছেলে ইটালী প্রবাসী রোমনের (৩৫) সাথে পাঙ্গাশিয়া গ্রামের মোফাজ্জেল হাওলাদারের মেয়ে শুকতারা আক্তারকে না জানিয়ে এক বছর আগে মোবাইলের মাধ্যমে গোপনে বিয়ে দেন পরিবারের লোকজন। এ বাল্য বিয়ের খবর ওই শিক্ষার্থী জানতে পেরে আনুঃপাচ মাস আগে সে ডিভোস করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রোমন আকনের ছোট ভাই শামন আকন তার লোকজন নিয়ে গত মঙ্গলবার সকালে ওই শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়তে যাওয়া সময় তাকে পিটিয়ে জখম করে ফেলে রাখে। ওই শিক্ষার্থী শুকতারা গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ দিকে তার উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে আহত ছাত্রীর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা থানার সামনের রাস্তায় এক মানবন্ধনের আয়োজন করে। পরে কালকিনি থানা পুলিশ এ কর্মসুচিতে বাধা প্রদান করেন। কিন্তু তা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীর উপজেলার প্রধান-প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সামনে কিছু সময় অবস্থান ও বিচারের দাবীতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

আহত শিক্ষার্থীও সহপাটি তাহিয়া,জতি,সাবিহা,ও মুসলিমাসহ বেশ কয়েকজন জানায়, আমরা মানববন্ধন করলে পুলিশ আমাদেও বাধা প্রদান করেন। তার পরেও আমরা নির্যাতন কারীদেও দ্রুত বিচার চেয়ে মানববন্ধনও বিক্ষোভ মিছিল করেছি।
কালকিনি থানার ওসি মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, আমরা শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য দায়িত্ব পালন করেছি। ইতিমধ্যে আমরা একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, দোষীদেরকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে।