শরীয়তপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ ডাকাত নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ১৪ই জানুয়ারী ২০১৯ ০৮:৫২ অপরাহ্ন
শরীয়তপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ ডাকাত নিহত

শরীয়তপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সরদার জাহাঙ্গীর আকনসহ দুইজন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও পালং মডেল থানা পুলিশের ফোর্স ধৃত ডাকাত সরদার জাহাঙ্গীর আকন (৪০) ও রাসেল হাওলাদারকে (৩২) নিয়ে ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্য ও ডাকাতিকালে ব্যবহৃত অস্ত্র-গুলি উদ্ধার অভিযানে যায়। ধৃত ডাকাত সরদারের কথিত মতে সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের দেওভোগ এলাকায় আখেরী মহলের (কবরস্থান) কাছে গেলে ওঁত পেতে থাকা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্যরা পুলিশের উপর গুলি চালায়। আত্মারক্ষঅর্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। তখন ডাকাত সরদার জাহাঙ্গীর ও রাসেল গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জেলা ডিবি পুলিশ ও পালং মডেল থানা সূত্রে জানাগেছে, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে পালং মডেল থানা পুলিশ, জেলা ডিবি পুলিশ ও ঢাকা উত্তর ডিবি পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ১১ জানুয়ারী আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সরদার ও একাধিক মামলার এজাহারনামিয় আসামী জাহাঙ্গীর ও রাসেলকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে। ওইদিনই ডাকাত সরদার জাহাঙ্গীর ও রাসেলকে সাথে নিয়ে ডাকাত সদস্য সোহেল ঘরামীকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ও ১২ জানুয়ারী বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।

১৩ জানুয়ারী রাতে আসামীদ্বয়কে সাথে নিয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলার দেওভোগ গ্রামের আখেরী মহলের (কবরস্থান) কাছে অভিযানে যায় পুলিশ। রোববার দিবাগত (সোমবার) রাত পৌনে তিনটায় আখেরী মহলের পাশে ওঁতপেতে থাকা ডাকাত সদস্যরা পুলিশের উপর গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ধৃত আসামীদ্বয় পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। পুলিশ সরকারী সম্পদ ও আত্মরক্ষার্থে ডাকাত দলের ওরপ গুলি করে। ডাকাত দল পিছু হটে। এ সময় জাহাঙ্গীর ও রাসেলের গুলিবিদ্ধ দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ ও স্থানীয়রা। গুলিবিদ্ধ দেহ দুটি উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। নিহত জাহাঙ্গীর আকন মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার সূর্যমনি গ্রামের সিকান্দার আকনের ছেলে আর রাসেল হাওলাদার একই জেলার রাজৈর থানার চাপাতলী গ্রামের আরশেদ আলী ওরফে সাত্তার হাওলাদারের ছেলে। আহত পুলিশ সদস্য হলেন পালং মডেল থানার কং-৩১১ রাসেল, কং-৪৫৯ মামুন ও ডিবি এএসআই সোহাগ সরদার। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান স্যুটারগান, ৯টি ককটেল, ৮টি রামদা, ২টি ছুরি, ৩টি চাইনিজ কুড়াল ও গ্রিলকাটার ১টি কাচি উদ্ধার করা হয়েছে।পালং মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, নিহত জাহাঙ্গীর আকন ও রাসেল হাওলাদার নড়িয়া ও পালং থানাসহ পাশবর্তী জেলা সমুহের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলার আসামী। জাহাঙ্গীর আন্তঃজেলা ডাকাত দলের চিহ্নিত সর্দার ও অপর আসামী রাসেল হাওলাদার ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব