অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে হলে গণমাধ্যমের সহযোগিতা ছাড়া তা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন।
শনিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীতে বাংলাদেশ জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ও রিপোর্টার্স ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত ‘নির্বাচন কমিশন প্রণীত সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা ২০২৫’ শীর্ষক এক পর্যালোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “গণমাধ্যমই পারে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন প্রণীত নীতিমালা যদি সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে বাঁধা দেয়, তাহলে সেই নির্বাচন কখনো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।” তিনি আরও বলেন, “কমিশনের উচিত গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনা করে নীতিমালা সংশোধন করা।”
২০০৮ সালের পর থেকে অনেক ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অনেক তরুণ জানেই না, ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া কীভাবে হয়। এ দায় শুধু রাজনৈতিক দলের নয়, নাগরিকদেরও।”
তিনি মনে করেন, নির্বাচন কমিশনের পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে প্রিজাইডিং অফিসারের অনুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা অযৌক্তিক। তবে, গোপন কক্ষে একসঙ্গে একাধিক সাংবাদিকের প্রবেশ নিষিদ্ধ রাখার নিয়মটি যথাযথ।
তিনি আহ্বান জানান, নির্বাচন কমিশন যেন দ্রুত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বসে বাস্তবসম্মত ও স্বাধীন সাংবাদিকতার অনুকূল নীতিমালা তৈরি করে।