প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ১৮:৪১
গত দুদিন ধরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে জোর গুঞ্জন চলছিল। রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সাধারণ মানুষের মাঝেও এ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে শনিবার (আজ) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভা শেষে এ গুঞ্জনের অবসান ঘটালেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করছেন না।
একনেক বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদের এক অনির্ধারিত বৈঠক। ওই বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। এতে গুজবের জবাব স্পষ্টভাবে দেওয়া হয়েছে এবং সরকারের অবস্থান তুলে ধরা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, পরাজিত শক্তি ও বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে যদি সরকারের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করা হয়, তবে সরকার বিষয়টি জনসমক্ষে তুলে ধরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। একই সঙ্গে দেশ পরিচালনায় সরকার জনগণের সঙ্গে থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে এ অনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার – এই তিনটি মৌলিক দায়িত্ব নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়। এসব দায়িত্ব পালনে যেসব বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে তা নিয়েও বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, নানা অযৌক্তিক দাবি, এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য ও কর্মসূচি দিয়ে সরকারের স্বাভাবিক কাজের পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। এতে জনমনে বিভ্রান্তি ও সংশয় তৈরি হচ্ছে। এসব পরিস্থিতির মোকাবিলায় সরকার বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করছে।
উপদেষ্টা পরিষদের মতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন শুধু রাজনৈতিক ইচ্ছার বিষয় নয়, এটি একটি জাতীয় দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
সবশেষে বিবৃতিতে জানানো হয়, অন্তর্বর্তী সরকার শত বাধার মাঝেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের স্বকীয়তা ও জনআকাঙ্ক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।