প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ১০:১২
দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় এসব দলের প্রতিনিধি দল সরাসরি অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তাঁর সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’য়। উদ্দেশ্য একটাই—তাঁকে পদত্যাগ থেকে বিরত রাখতে অনুরোধ জানানো। বিএনপি ও জামায়াত নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে একটি যৌথ পদক্ষেপে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় যমুনায় পৌঁছাবে। তাঁদের পূর্বনির্ধারিত সময় জানানো হয়েছে বলেও বিএনপি সূত্রে জানা যায়।
অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন দলটির আমির শফিকুর রহমান। তাঁর নেতৃত্বে দলটি সন্ধ্যা সাড়ে ৮টায় অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসবে। এর আগে দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, তাঁরা বৈঠকের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সময় চেয়েছিলেন এবং তা নির্ধারিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ অন্যান্য দলের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে। তাতে অনেকেই অভিমত দিয়েছেন, এখনই ইউনূসের পদত্যাগ হলে সংকট আরও ঘনীভূত হতে পারে। তাই তাঁরা তাঁর কাছে অবস্থান বজায় রাখার অনুরোধ জানাবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন।
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ইতিমধ্যে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বৃহস্পতিবার রাতেই এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান এবং শুক্রবার যমুনায় গিয়েও অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।
এদিকে আজই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে যেটির সভাপতিত্ব করবেন ড. ইউনূস। সাধারণত এমন সভার পর সংবাদ ব্রিফিং হলেও আজ তা বাতিল করা হয়েছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আভাসে আজকের বৈঠকগুলো বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে।
শুক্রবার সারাদিন তিনি যমুনায় অবস্থান করেছেন এবং কোনো মন্তব্য করেননি। আজকের বহুল প্রতীক্ষিত সাক্ষাৎগুলোর পর দেশের রাজনীতিতে নতুন গতি আসতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।