প্রকাশ: ৬ মে ২০২৫, ২১:২১
বাংলাদেশ মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মির নতুন প্রশাসনে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে চায়, এমনটাই জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। মঙ্গলবার (৬ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নতুন আসা রোহিঙ্গাদের ঘর দেওয়ার ব্যাপারে পরিবেশ এবং পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে, রাখাইনের নতুন প্রশাসনের সর্বস্তরে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব বাংলাদেশ চায় এবং এই বার্তা জাতিসংঘের মাধ্যমে আরাকান আর্মিকে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
খলিলুর রহমান আরও বলেন, সীমান্তের ওপারে অবস্থানরত যেকোনো পক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশ যোগাযোগ রাখবে, এবং সে সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি জানান, সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন আপাতত দেখা যাচ্ছে না। জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী, রাখাইনে মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করা হবে, এবং যদি সবাই একমত হয়, তবেই তা বাস্তবায়ন করা হবে। তবে, শেষ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ওপর থাকবে।
নিরাপত্তা উপদেষ্টা এই সময়ে জাতিগতভাবে নিধনকে বাংলাদেশ সমর্থন করে না বলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, রাখাইনে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে গিয়েছিলেন। তার পরই, জাতিসংঘের প্রস্তাবে নীতিগতভাবে একমত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশ এই প্রস্তাবে সমর্থন জানালেও, মানবিক প্যাসেজ তৈরির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে দেশে সকল পক্ষের মতামত নেয়ার পর। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল, যাতে সীমান্ত পার হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য একটি নিরাপদ মানবিক করিডোর তৈরি করা যায়।
এভাবে বাংলাদেশ সরকার রাখাইনে মানবিক সহায়তার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা এবং রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও কার্যকর অবস্থান নিতে চায়।