ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি প্রাথমিক তদন্তে- টাঙ্গাইলের এসপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শনিবার ২২শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৫:৩৮ অপরাহ্ন
ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি প্রাথমিক তদন্তে- টাঙ্গাইলের এসপি

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে ডাকাতরা নারীদের কাছ থেকে স্বর্ণ ও রূপার গহনা লুট করেছে। গহনা খুলে নেওয়ার সময় তাদের শরীরে স্পর্শ লেগেছে, যা শ্লীলতাহানির পর্যায়ে পড়ে। শনিবার টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান। এ ঘটনায় মির্জাপুর থানার কর্মকর্তা আতিকুজ্জামানকে কর্তব্যে অবহেলার দায়ে বরখাস্ত করা হয়েছে। 


পুলিশ সুপার আরও জানান, সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, একটি ছুরি ও ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ও অন্যান্য সূত্র ব্যবহার করে তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. শহিদুল ইসলাম (২৯), মো. সবুজ (৩০) ও মো. শরীফুজ্জামান (২৮)। তাদের ৫ দিনের রিমান্ডে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি। 


গত সোমবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী একটি বাসে মির্জাপুর এলাকায় ৩ ঘণ্টা ধরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও গহনা লুট করা হয়। অভিযোগ ওঠে, ডাকাতরা দুই নারীর শ্লীলতাহানি করেছে। পরে যাত্রীরা বাসটি আটকে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের সহায়তা চান। বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ বাসচালক বাবলু, সুপারভাইজার মাহবুব ও হেলপার সুমনকে আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে ৫৪ ধারায় মামলা করা হলে আদালত থেকে তারা জামিনে মুক্তি পান। 


বৃহস্পতিবার রাতে বাসের যাত্রী ওমর আলী বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় ৮ থেকে ৯ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশের দ্রুত তদন্ত ও গ্রেফতারের ফলে ঘটনার তদন্ত এগিয়ে চলেছে। পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, আইনের আওতায় দোষীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। তিনি আরও বলেন, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। এই ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় পুলিশের ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 


এই ঘটনায় পুলিশের তৎপরতা ও দ্রুত গ্রেফতারের ফলে জনগণের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে চলন্ত বাসে ডাকাতির মতো ঘটনা রোধে আরও কঠোর নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি উঠেছে। স্থানীয়রা আশা করেন, এই ঘটনার দ্রুত নিষ্পত্তি ও দোষীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা কমে আসবে।