পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোরশেদুল আলম ও প্লান্ট ম্যানেজার শাহ আব্দুল মাওলার অপসারণসহ ৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তরা। রবিবার দুপুরে কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য রবিউল আওয়াল অন্তর, ব্যবসায়ী মাহবুবুল আলম নাঈম, মেহেদী হাসান ইলিয়াস, শহিদুল ইসলাম, রেজাউল প্যাদা ও বিলকিস বেগমসহ অনেকে।
২০১৭ সালে উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নে ১ হাজার একর জমির ওপর স্থাপিত পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির ক্ষতিপূরণ এবং প্রতিশ্রুত সুযোগ-সুবিধা বাস্তবায়নে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
বক্তারা বলেন, ভূমি অধিগ্রহণকৃত পরিবারগুলোর ক্ষতিপূরণ হিসেবে তিনগুণ অর্থ প্রদান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি, আটকে থাকা জমির ক্ষতিপূরণের দ্রুত নিষ্পত্তি এবং বসবাসকারীদের জীবনমান উন্নয়নের ব্যবস্থা করতে হবে।
মাছুয়াখালী গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মেহেদী হাসান ইলিয়াস অভিযোগ করেন, “বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি কোনো সীমা মানে না। নির্বাহী প্রকৌশলী জার্জিস তালুকদার কেন্দ্রে অবৈধভাবে মহিষ পালন করেন এবং কয়লা গোপনে বিক্রি করেন। এগুলো কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা প্রধান ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব।”
ক্ষতিগ্রস্ত রবিউল আওয়াল অন্তর বলেন, “বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে জড়িত। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে বারবার রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। আমরা ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্লান্ট ম্যানেজারের অপসারণ এবং তদন্ত সাপেক্ষে তাদের গ্রেপ্তার দাবি করছি।”
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী জার্জিস তালুকদার বলেন, “ছোট একটি মহিষের খামার রয়েছে। এটি নিয়ে অভিযোগ করার মতো কিছু নেই। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
প্লান্ট ম্যানেজার শাহ আব্দুল মাওলা দাবি করেন, “তাদের সব দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া হয়েছে। এখন তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযোগ করছে। আমাদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।”
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।