তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি বিএনপির নেতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
পারভেজ সরকার স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার ১২ই জানুয়ারী ২০২৫ ০৭:০৭ অপরাহ্ন
তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি বিএনপির নেতার

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার সংবাদদাতা সোহেল রানা প্রাণনাশের হুমকির শিকার হয়েছেন। উপজেলার ধামাইনগর বাজার থেকে নিমগাছী কড়িতলা পর্যন্ত রাস্তার কাজে অনিয়মের তথ্য চাওয়ায় সোহেল রানার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হুমকি দেয়া হয়। এতে করে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং তার কর্মপরিবেশ বিঘ্নিত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি রায়গঞ্জ থানা ও নিমগাছী সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।


অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রায়গঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র আব্দুল্লাহ আল পাঠানের ছোট ভাই মমিন পাঠানের এলজিইডি প্রকল্পের আওতায় রাস্তার কাজ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে সোহেল রানা গত ৬ জানুয়ারি এলজিইডি অফিসে গিয়ে রাস্তাটির কাজ সম্পর্কে তথ্য জানতে চান।


এ ঘটনার জেরে ৭ জানুয়ারি রোম বাদশা (রায়গঞ্জ পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক) এবং বোরহান উদ্দিন (রায়গঞ্জ পৌর যুবদলের আহ্বায়ক) সোহেল রানার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন। রোম বাদশা মৃত ওয়ারেছ আলীর ছেলে এবং বোরহান উদ্দিন মৃত আবু সাইদের ছেলে।


পরবর্তীতে ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে অভিযুক্ত রোম বাদশা ও বোরহান সোহেল রানাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেন।


এ অবস্থায় নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে ১২ জানুয়ারি তিনি রায়গঞ্জ থানা ও নিমগাছী সেনাবাহিনী ক্যাম্পে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।


এ ঘটনার পর রায়গঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন।


এ বিষয়ে রায়গঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”


সাংবাদিক সোহেল রানা বলেন, “তথ্য চাওয়ার কারণে প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।”


সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং এ ধরনের ঘটনা বন্ধে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পেশাজীবীরা।