মাদারীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত তাওহীদ সন্নামাত হত্যা মামলার আসামি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে-কে সোমবার দুপুরে বিসিক শিল্প এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ।
সোমবার গ্রেপ্তারের পর কাজল কৃষ্ণ দে-কে আদালতে নেওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে তার উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের একটি ভিডিও মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, সাংবাদিকরা তার ভিডিও ধারণ করার সময় তিনি সাংবাদিকদের বাধা দেন এবং আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে তাদের দিকে এগিয়ে আসেন। এ সময় তার স্ত্রীও ভিডিও ধারণে বাধা দেন।
মোহনা টেলিভিশনের সাংবাদিক আরিফুর রহমান অভিযোগ করেন, থানার ওসির অনুমতি নিয়ে তিনি কাজল কৃষ্ণ দে-র আদালতে নেওয়ার ফুটেজ সংগ্রহ করছিলেন। তখন কাজল কৃষ্ণ দে এবং তার পরিবারের সদস্যরা তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে হামলার চেষ্টা করেন। আরিফুর রহমান এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১৯ জুলাই মাদারীপুর-শরীয়তপুর সড়কে ছাত্রলীগ, পুলিশ ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন তাওহীদ সন্নামাত। ওই ঘটনার পর তার পরিবার মামলা দায়ের করে, যেখানে কাজল কৃষ্ণ দে-কে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কাজল কৃষ্ণ দে-কে গ্রেপ্তারের পর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে তার আক্রমণাত্মক আচরণ দুঃখজনক।
মাদারীপুর জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব কামরুল হাসান বলেন, “সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের আচরণ আজও পরিবর্তন হয়নি। ভিডিওতে দেখা যায় কাজল কৃষ্ণ দে সাংবাদিকদের মারতে তেড়ে এসেছেন। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়।”
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।