ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে সংবাদকর্মীরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের পা ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি।
গত শুক্রবার (৩০শে আগস্ট) সকালে হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বালিয়াডাঙ্গী প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ( enews71 এর ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি) ইলিয়াস আলী ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (দৈনিক তৃতীয় মাত্রার ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি) নুরে আলম সাদ্দাম কে পা ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দেন হাসপাতালের আরএমও ডাঃ সজীব।
চিকিৎসা নিতে আসা এক বৃদ্ধা জানান, আমি অসুস্থ হয়ে দুই দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছি। হাসপাতাল থেকে কোন ঔষধ আমাকে দেয়নি। ঔষধ ও স্যালাইন বাইরে থেকে কিনে নিয়ে আসতে হয়। হাসপাতালের নার্স ও ডাক্তার গুলোও খুব খারাপ আচরণ করে।
চিকিৎসা নিতে আসা পজির উদ্দীন বলেন, হাসপাতালে তেমন সেবা পাই না আমরা তাই বাইরে ভিজিট দিয়ে ডাক্তার দেখাতে হয়। সরকার ঔষধ বিনামূল্যে দিলেও আমরা হাসপাতাল থেকে ঔষধ পাই না।
আরও এক রোগীর সন্তান রানা বলেন, আমার মাকে নিয়ে হাসপাতালে তিন দিন থেকে ভর্তি আছি। হাসপাতালে ঔষধ কেন নাই আরএমও ডাঃ সজীব এর কাছে আমার জানতে চাইলে ডাঃ সজীব আমার মা'কে অভদ্র ও বেয়াদপ মহিলা চুপ করে শুয়ে থাক। ইচ্ছা হলে হাসপাতালে থাক আর না হলে চলে যাও বলে ধমক দেই।
সাংবাদিক ইলিয়াস আলী ও নুরে আলম সাদ্দাম বলেন, হাসপাতালে রোগীদের ঔষুধ দেয় না ও সময়মত চিকিৎসা পায় না বলে মোবাইলে আমাদের রোগীরা অভিযোগ দিলে আমরা হাসপাতালে যায়। রোগীদের বেডে গিয়ে তাঁদের সমস্যার তথ্য সংগ্রহ করি এমন সময় ডাঃ সজীব আসে আমাদের ধমক দিয়ে হাসপাল থেকে বের হয়ে যেতে বলে। আমাদের কেন বের হতে বলছে সেটা জিজ্ঞাসা করলে ডাঃ সজীব বলেন সাংবাদিকরা হাসপাতালে আসলে পা ভেঙ্গে দিব।
আরএমও ডাঃ সজীবের কাছে হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, সাংবাদিকরা আসে আমাদের নার্সদের সাথে তর্ক করে ও ধমক দেই। খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে আসে চলে যেতে বলি এবং নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে না পেরে তাঁদের সাথে বাড়াবাড়ি হয়।এটা আমার ভূল হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়া এটা কখনওই মেনে নেওয়া সম্ভব না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং সেই সাথে আরএমও'র বিচার দাবী করছি।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।