জামায়াতের আমির দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তার ছেলে ডা. রাফাত সিলেটের বাসায় অন্য সহযোগীদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নতুন জঙ্গি সংগঠনের দাওয়াতি কার্যক্রম চালাতেন বলে জানিয়েছেন সিটিটিসির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমনকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। সেখানে মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।
এর আগে জঙ্গি সম্পৃক্ততায় জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমনকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। পরে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘ছেলের জঙ্গি কার্যক্রমের পুরো বিষয় জামায়াত আমির অবগত ছিলেন। ক্ষেত্রবিশেষে তিনি সহযোগিতাও করেছেন। তার বিরুদ্ধে জঙ্গিদের অর্থ সহযোগিতা করারও তথ্য পেয়েছি, যা যাচাই-বাছাই চলছে। ’
তিনি বলেন, ‘জামায়াতের আমিরের ছেলে গ্রেপ্তার ডা. রাফাত ১১ জনকে নিয়ে পাহাড়ি সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টে (কেএনএফ) প্রশিক্ষণের জন্য হিজরত করেছিল। সেই হিজরতের সম্পূর্ণ খরচ বহন করেছিলেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। ’
গত ৯ নভেম্বর ড. মো. শফিকুর রহমানের ছেলে রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহ ও আরিফ ফাহিম সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। পরদিন আদালত তাদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ১৪ নভেম্বর দুই দিন ও ১৭ নভেম্বর আদালত তৃতীয় দফায় তাদের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ১৯ নভেম্বর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জামায়াত নেতারা জঙ্গিবাদকে উদ্বুদ্ধ করছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে নতুন জঙ্গি সংগঠনের পরস্পর বোঝাপড়া থাকতে পারে অথবা তাদের সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতাও করতে পারে। নতুন জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে তারা জামায়াতের কাছ থেকেও সহযোগিতা পেয়েছেন। ’
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।