পরশ-তাপসকে ডেকে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৩০শে আগস্ট ২০২২ ০৭:১৫ অপরাহ্ন
পরশ-তাপসকে ডেকে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী

‘আপনাদের সামনে এখানে আছে আমাদের তাপস এবং পরশ। পরশ আসো, আয়, ও টুক টুক করে বসে আছে। ওকে নিয়ে এসো’। এভাবেই মঞ্চের সামনে বসে থাকা পরশকে (শেখ ফজলে সামস পরশ) কাছে ডেকে নিয়ে কেঁদে ফেলেন আবেগাপ্লুত আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঞ্চে বসা ছোট ভাই তাপস (ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস) উঠে গিয়ে বড় ভাই পরশকে জড়িয়ে ধরেন। পরশও পরম মমতায় জড়িয়ে ধরে আদর করছিলেন তাপসকে। পরশ ও তাপস পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এরপর দুই ভাই পরশ আর তাপসকে কাছে নিয়ে তাদের বাবা-মাকে হত্যার বেদনাবিধুর দিনটির কথা স্মরণ করেন শেখ হাসিনা। মুহূর্তেই আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয় পুরো আলোচনাসভায়। বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ কয়েকটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করছিলেন। দ্রুতই এই দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।


মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় এমন আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।



‘আয় কাছে আয়’ ডেকে আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে ওরা বড় হয়ে গেছে। ৫ বছরের পরশ, ৩ বছরের তাপস, গুলি খেয়ে বাবা-মায়ের লাশ পড়ে আছে। দু’টি বাচ্চা পাশে গিয়ে চিৎকার করছে, বাবা ওঠো-মা ওঠো। কেউ সাড়া দেয়নি।’


অন্যান্য স্বজনদের নিহত ও আহত হওয়ার বর্ণণা দিয়ে আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী বলেন, কী নিষ্ঠুর নির্মম ঘটনা ঘটেছে আপনারা একটু চিন্তা করে দেখেন। আর সেই হত্যার পর বিচার চাওয়ার কোনো অধিকার ছিল না আমাদের। মামলা করার অধিকার ছিল না। আমি আর রেহানা বিদেশে ছিলাম। সে জন্য বোধহয় বেঁচে গিয়েছিলাম। আর এ বাঁচা কী দুঃসহ বাঁচা সেটা শুধু ভুক্তভোগীরাই জানেন।


ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্না কচির সঞ্চালণায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, দক্ষিণের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, শহীদ সেরনিয়াবাত, উত্তরের সহ-সভাপতি সাদেক খান, এম এ কাদের খান প্রমুখ।