করোনা রোগীর চিকিৎসায় আসছে পরিবর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশেষ প্রতিবেদক - স্বাস্থ্য বিভাগ
প্রকাশিত: শনিবার ২৯শে জানুয়ারী ২০২২ ০৫:২২ অপরাহ্ন
করোনা রোগীর চিকিৎসায় আসছে পরিবর্তন

শিগগিরই করোনার চিকিৎসায় বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। পজিটিভ রোগীর ক্ষেত্রে ১৪ দিন থেকে সরে এসে ৫ থেকে ৭ দিনের আইসোলেশনের কথা ভাবছে সরকার।


 এছাড়া রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ৫টি ওষুধ প্রয়োগ করতে পারবেন চিকিৎসকরা। এমন বেশ কিছু পরিবর্তন এনে একটি গাইডলাইন চূড়ান্ত করেছে কোভিড নাইনটিন চিকিৎসা বিষয়ক হালনাগাদ কমিটি।


দেশে দুই বছর ধরে চলা অতিমারি করোনার চিকিৎসায় নানা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগকে। ক্ষণে ক্ষণে ধরন পরির্বতন এর উপসর্গ, রোগের স্থায়িত্ব আর সংক্রমণের ক্ষেত্রে নানা বিষয় আমলে নিয়ে পরিবর্তন হয়েছে এর চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনায়।


স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, বৈশ্বিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে করোনার চিকিৎসা নির্দেশিকায় আনা হচ্ছে বেশ কিছু পরিবর্তন। এক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান সিডিসির পরামর্শগুলোকে। ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে একটি গাইডলাইন।

 

অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম বলেন, এটার জন্য রোগীদের তীব্র সমস্যা হয় না। ফুসফুস খুব একটা আক্রান্ত হয় না। সিডিসির পরামর্শকরা বলছেন, একজন মানুষ ৫দিন পর মাস্ক পরে বের হতে পারবেন যদি তার উপসর্গ কম থাকে।  


করোনা পজিটিভ রোগীর ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্নকরণ বা আইসোলেশনের সময় কমিয়ে আনার চিন্তা করছেন তারা। একইসাথে রোগীর সংস্পর্শে যারা আসবেন তাদের উপসর্গ না থাকলে কোয়ারেন্টাইন বাদ দেয়ার চিন্তাও করা হচ্ছে।


করোনা বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লা বলেন, খুব একটা বড় শর্ত হলো টাইট মাস্ক পরা, যেনতেন মাস্ক নয়। যখন থেকে উপসর্গ দেখা দিয়েছে সেদিন থেকে ১০ দিন আইসোলেনে থাকতে হবে। সময় কমানোর আর চিন্তা ভাবনা আছে, যেমন কেউ বলছেন ৭ দিন আবার কেউ কেউ বলছেন ৫ দিনও করা যায় কি না।      


এছাড়া, এখন থেকে চিকিৎসকরা অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিবায়োটিকসহ মোট ৫টি নির্দিষ্ট ওষুধের প্রয়োগ করতে পারবেন নিরাময়ের ক্ষেত্রে। ডা. শহীদুল্লা বলেন, সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সবার ক্ষেত্রে নিশ্চয় এক হবে না। বহু মানুষ দুই ডোজ টিকার আওতায় আসা, বুস্টার ডোজ শুরু হওয়ায় করোনা বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করার পক্ষে মত দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।