করোনা ভীতি উপেক্ষা করে স্বজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে ঝুকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ। লকডাউনে মহাসড়কে যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকলেও ঘরমুখো মানুষ প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও পণ্য পরিবহনের গাড়ীতে বাড়ী ফিরছে।
গত ২৪ ঘন্টায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নদী দিয়ে প্রায় লক্ষ্যাধিক সাধারণ মানুষ ফেরিযোগে পারাপার হয়েছে। সাথে ব্যাক্তিগত প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মটরসাইকেল ছিলো চোখে পড়ারমত।
যাত্রীরা বলছেন, 'কর্মস্থল ছুটি হওয়ায় থাকার জায়গা নেই। এছাড়াও পরিবার-পরিজন আমাদের জন্য অপেক্ষায় আছেন। তাই স্বজনদের সাথে ঈদ করতে জীবনের ঝুকি নিয়ে কয়েকগুন বেশি ভাড়া দিয়ে হলেও বাড়ি যেতে হচ্ছে।'
এদিকে, সচেতন মহল বলছে, 'সরকার করোনা প্রতিরোধে যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছেন তা সাধারণ মানুষ মানছে না। মানুষ যেভাবে গ্রামে যাচ্ছে তাতে করোনার ঝুকি আরও বেড়ে যাচ্ছে।'
রাজবাড়ী জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর তারক চন্দ্র পাল বলেন, ঢাকা থেকে ট্রাকে যাত্রী আসলে সেটা রাজবাড়ী ট্রাফিক পুলিশের কিছু করার নাই। ঘাটে থেকে কোন যাত্রী ট্রাকে উঠানো হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
তাছাড়া মহাসড়কে যানজটরোধ করতে পুলিশ দিনরাত ২৪ ঘন্টা কাজ করছে। করোনা প্রতিবোধ করতে যাত্রী বা চালক যাতে হোটেল রেস্তোয় না থামে সেজন্য পার্কিং করতে দেওয়া হচ্ছে না।