ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে সমর্থন করছে না ভারত, এমন মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কোনো একক রাজনৈতিক দল বা সরকারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে গভীর সম্পর্কের প্রতিফলন।
বুধবার (১২ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এক ব্রিফিংয়ে বিক্রম মিশ্রি এই মন্তব্য করেন। তিনি জানান, বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনার সমালোচনাকে ভারত সমর্থন করে না। মিশ্রি আরো বলেন, শেখ হাসিনার এসব বক্তব্য বাংলাদেশের-ভারতের সম্পর্কের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় হিসেবে বিবেচিত।
বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, "বাংলাদেশের জনগণের ওপর আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ, এবং আমাদের সম্পর্ক শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দল বা সরকারের সঙ্গে সীমাবদ্ধ নয়।" তিনি জানান, ভারতের ঐতিহ্যগত নীতির অংশ হিসেবে, বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারতের হস্তক্ষেপ করার লক্ষ্য নয় এবং শেখ হাসিনাকে কোনো ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। মিশ্রি আরও বলেন, "শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত যোগাযোগের ডিভাইস ব্যবহার করে এসব বক্তব্য দিচ্ছেন, এবং ভারত সরকার তাকে কোনো প্ল্যাটফর্ম প্রদান করছে না।"
এদিকে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কিছুটা সংকটময় হয়ে ওঠে। সম্প্রতি, বিক্রম মিশ্রি বাংলাদেশ সফর করে ফেরার পর, তিনি সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছেন যে, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং এটি শুধু একটি সরকারের সঙ্গে সীমাবদ্ধ নয়, বরং জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব আরও জানান, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে রেল, বাস এবং অভ্যন্তরীণ নৌপথ নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু অগ্রগতি হয়েছে, তবে যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা এখনও স্থগিত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।