আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী পল্লী বিদ্যুৎতের ৬ কর্মি ৩ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: শুক্রবার ১৮ই অক্টোবর ২০২৪ ১১:১৩ অপরাহ্ন
আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী পল্লী বিদ্যুৎতের ৬ কর্মি ৩ দিনের রিমান্ডে

রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় পৃথক দুটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ছয় কর্মকর্তাকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করার পর বিচারক ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


রিমান্ডে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন: মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাজন কুমার দাস, ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নবীনগরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, কুমিল্লার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দীপক কুমার সিংহ, মাগুরার শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাহাত, নেত্রকোনার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মনির হোসেন, এবং সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বেলাল হোসেন।


মামলার বিবরণ অনুযায়ী, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পরিচালক (আইন শাখা) আরশাদ হোসেন ১৭ অক্টোবর খিলক্ষেত থানায় এই মামলাগুলো দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ জানুয়ারি থেকে কয়েকজন বিপথগামী কর্মকর্তা ও কর্মচারী পরস্পর যোগসাজশে বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করতে এবং সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও সাইবার নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী অভিযোগ আনা হয়েছে।


মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, এই কর্মকর্তারা একটি কেন্দ্রীয় কমিটির নামে বিদ্যুৎ সরবরাহের জরুরি সেবাকে অস্থিতিশীল করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে জড়িত। তারা পূর্বের সরকারের মন্ত্রী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহায়তায় বিদ্যুৎ খাতে বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করতে এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চেয়েছেন।


এ অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত থেকে রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ আসার পর, তদন্ত কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন যে, এই ষড়যন্ত্রকারীদের কার্যকলাপ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সম্মান ও সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে। একই সঙ্গে তারা দেশের বিদ্যুৎ খাতকে অচল করার চেষ্টা চালিয়ে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চেয়েছে।


আদালতের এই রিমান্ড আদেশে তদন্তের প্রক্রিয়া আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কার্যকলাপের প্রকৃতি ও তাদের ষড়যন্ত্রের গভীরতা উদ্ঘাটিত হবে।