পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপনের তাৎপর্য: কোরআন ও হাদিসের আলোকে

নিজস্ব প্রতিবেদক
হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী- বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ
প্রকাশিত: শুক্রবার ৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:২৬ পূর্বাহ্ন
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপনের তাৎপর্য: কোরআন ও হাদিসের আলোকে

প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম এর আগমনের মাস, রবিউল আউয়াল, মুসলিম উম্মাহর কাছে বিশেষ মর্যাদা রাখে। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম উদযাপনের গুরুত্ব সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে উল্লেখিত বিভিন্ন প্রমাণ ও তাৎপর্য তুলে ধরা হয়েছে। 


কোরআনে আল্লাহ তাআলা স্পষ্টভাবে বলেছেন, "তোমাদের কাছে উপদেশ বাণী এসেছে, তোমাদের রবের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের ব্যাধির নিরাময়, হিদায়েত ও রহমাত মুসলমানদের জন্য।" (সুরা ইউনুস: ৫৭-৫৮)। ইমাম ইবনে জারীর এবং ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ুতি রাহমাতুল্লাহি তাআলা আলাইহি তাঁদের তাফসিরে এই আয়াতের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেছেন যে, হিদায়েত বলতে ইসলাম এবং রহমাত বলতে কোরআন বোঝানো হয়েছে। আল্লাহ তাআলা কোরআনে আরও উল্লেখ করেছেন, "আর আমি আপনাকে জগৎসমূহের জন্য একমাত্র রহমাত হিসেবেই প্রেরণ করেছি।" (সুরা আম্বিয়া: ১০৭)। এই আয়াতে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম-এর জন্মদিনে আনন্দ প্রকাশ করা এবং খুশি উদযাপন করা কোরআনের নির্দেশনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং উত্তম আমল হিসেবে গণ্য।


হাদিসের আলোকে দেখা যায়, প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম নিজেই নিজের জন্মদিনকে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। হযরত আবু কাতাদাহ আনসারী রাদি-আল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেন, "এদিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এইদিনে আমার প্রতি নবুয়াত অবতীর্ণ হয়েছে।" (মুসলিম শরিফ)। এই হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম তাঁর জন্মদিনে রোজা রেখেছেন এবং এই দিনটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।


এভাবে কোরআন ও হাদিসের আলোকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম উদযাপন করা বৈধ, বরং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ আমল হিসেবে প্রমাণিত হয়। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে প্রিয় নবীর জন্মদিন উদযাপনের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।