প্রিলের প্রথম সপ্তাহে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আগামী দু’একদিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে সভা করে পরীক্ষা গ্রহণের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে। গত ১৫ মার্চ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ আয়োজনের কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক এ এফ এম মনজুর কাদির বলেন, এ বছর পরীক্ষায় আবেদনকারী বেশি হওয়ায় কয়েকটি ধাপে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য শতভাগ প্রস্তুতি রয়েছে তার কার্যালয়ের। এবার ১৩ হাজার পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ২৪ লাখের বেশি।
অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এবার নিয়োগ পরীক্ষা সম্পূর্ণ ডিজিটাইজড পদ্ধতিতে নেওয়া হবে। নির্ধারিত জেলায় পরীক্ষার আগের রাতে। জেলা প্রশাসকের কাছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের সব সেট পাঠানো হবে। পরীক্ষার দিন সকাল ৮টায় প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে তা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, এবার সব জেলার ফল একসঙ্গে প্রকাশ করা হবে না। যে জেলার পরীক্ষা আগে শেষ হবে, সেখানে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে মৌখিক পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।
কর্মকর্তারা জানান, পরীক্ষার হলে পাশাপাশি বসা পরীক্ষার্থীরা যাতে একই সেট না পায় সে জন্য এবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রার্থীদের প্রশ্ন সেট নির্ধারণ করা হবে। পরীক্ষার্থীর রোল নম্বরের ওপর প্রশ্ন সেট নির্ধারণ করা হবে। এবার পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শক নিয়োগের ক্ষমতা কেন্দ্র সুপারের কাছে থাকছে না। এক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে অন্য প্রতিষ্ঠানে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব দেওয়া হবে। কেন্দ্র থেকে দায়িত্ব পাওয়া পরিদর্শকদের শুধু দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন কেন্দ্র সুপার।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।