নবম ও দশম শ্রেণিতে পুনরায় বিভাগ বিভাজন ফিরিয়ে এনে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য পুনর্বিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস, প্রশ্নের ধরন, এবং নম্বর বণ্টন প্রকাশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এনসিটিবির ওয়েবসাইটে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, এবং মানবিক বিভাগের ৩২টি বিষয়ের সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে চালু হওয়া ‘নতুন শিক্ষাক্রম’ বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার পূর্বের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ১ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক পরিপত্রে জানিয়েছিল, বিদ্যমান শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয়। এর ভিত্তিতে ২০২৬ সাল থেকে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম কার্যকর করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিষয়ভেদে নম্বর বণ্টনের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ব্যবহারিক না থাকা বিষয়গুলোতে রচনামূলক অংশে ৭০ নম্বর এবং বহুনির্বাচনি অংশে ৩০ নম্বর রাখা হবে। ব্যবহারিকসহ বিষয়গুলোতে তত্ত্বীয় অংশে ৭৫ নম্বর এবং ব্যবহারিক অংশে ২৫ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। তত্ত্বীয় অংশের মধ্যে রচনামূলক ৪০ এবং বহুনির্বাচনি ২৫ নম্বর থাকবে।
নবম-দশম শ্রেণির বিভাগ বিভাজন তুলে দিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১’ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে আসার ঘোষণা দেওয়া হয়। পুনর্বিন্যাসকৃত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, ২০১২ সালের পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে তৈরি বইগুলো পরিমার্জন করে ২০২৫ সালের শিক্ষার্থীদের হাতে দেওয়া হবে।
২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা এই পরিবর্তিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পড়াশোনা করবে। ইতিমধ্যেই পুরোনো শিক্ষাক্রমের ভিত্তিতে বইগুলো ছাপানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এতে নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞান, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষার বিভাগভিত্তিক পড়াশোনার ধারাটি পুনরায় কার্যকর হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম পূর্বের তুলনায় শিক্ষার্থীদের জন্য অধিক কার্যকর এবং বাস্তবায়নযোগ্য হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।