পাথর ছুঁড়ে হত্যার শরিয়া আইন চালু ব্রুনেইতে সমকামিদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ২৯শে মার্চ ২০১৯ ১০:৫২ পূর্বাহ্ন
পাথর ছুঁড়ে হত্যার শরিয়া আইন চালু ব্রুনেইতে সমকামিদের

এ ধরনের নিষ্ঠুর ও অমানবিক শাস্তিকে বৈধতা দেওয়া যে কোনও দেশের জন্যই বিপদজনক।’২০১৩ সালে কঠোর শরিয়াহ আইন প্রচলনের উদ্যোগ নিয়েও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পিছিয়ে এসেছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ব্রুনাই। তখন চাপের মুখে পিছিয়ে গেলেও এবার দেশটিতে চালু হচ্ছে কঠোর শরিয়া আইন। এর আওতায় পুরুষের সমকামিতার শাস্তি হিসেবে নির্ধারণ করা আছে পাথর ছুঁড়ে হত্যা। ২০১৯ সালের ৩ এপ্রিল থেকে পাথর ছোঁড়া ও অঙ্গচ্ছেদ আইন কার্যকর হবে।  সিএনএন এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল এই শাস্তি কার্যকরের ঘোষণা দিলেও সম্প্রতি তা প্রকাশ্যে এসেছে।জানা যায়, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দ্বীপ রাষ্ট্রের জনসংখ্যা প্রায় চার লাখ ৩০ হাজার। দেশটিতে সমকামিতা এখনও অবৈধ। এর সর্বোচ্চ শাস্তি দশ বছর। ব্রিটিশ শাসনের অধীনে থাকার সময় থেকেই দেশটিতে বিভিন্ন অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে সাধারণত তা কার্যকর হয় কম ক্ষেত্রেই। তবে নতুন প্রণয়ন করা আইনে সমকামিতার শাস্তি হিসেবে বেত্রাঘাত বা পাথর ছুঁড়ে হত্যার বিধানও সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ডাকাতির শাস্তি হিসেবে হাত বা পায়ের পাতা কেটে ফেলার মতো শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে।

মার্কিন মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর গবেষক রাচেল চোওয়া-হাওয়ার্ড এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘এ ধরনের নিষ্ঠুর ও অমানবিক শাস্তিকে বৈধতা দেওয়া যে কোনও দেশের জন্যই বিপদজনক।’’উল্লেখ্য, ব্রুনাইয়ের শাসনকর্তা সুলতান হাসানাল বলখিয়া। ১৭৮৮ কক্ষের এক প্রাসাদে বাস করা এই সুলতানের শত শত কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। দেশের তেল বিক্রি থেকে এসব অর্থ উপার্জিত হয়েছে বলে মনে করা হয়। বিগত কয়েক দশক ধরে তিনি রক্ষণশীল ইসলামের পথে হাঁটছেন। যদিও এই অঞ্চলের অন্যদেশগুলোতে সাধারণত উদারবাদী ধারাই চর্চা করা হয়ে থাকে।