আশাশুনি সদরে মানিকখালী চরে ও বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা বাজার মরিচ্চাপ নদীর বেড়ী বাঁধ ভাঙ্গন স্থান পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)। মঙ্গলবার দুপুরে ও বিকালে ভাঙ্গন কবলিত বাঁধ পরিদর্শন করেন কর্মকর্তাবৃন্দ।
মানিকখালী চরে প্রটেকশান বাঁধ ভেঙ্গে চরের বাসিন্দাদের মৎস্য ঘের, পুকুর, বসতবাড়ি নিমজ্জিত হয়েছে। নদী খনন কাজ শুরুর পর চর এলাকায় গিয়ে কাজ বন্দ করে রাখা হয়। ম্যাপ অনুযায়ী খননকাজ করার দাবীতে এবং এলাকা রক্ষার্থে সুরক্ষা বাঁধের দাবীতে আবেদন, নিবেদন, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়।
সরকারি ও পাউবোর উর্দ্ধতন কর্মকর্তা এলাকা পরিদর্শন ও বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। কিন্তু খনন কাজে নিয়মমত কাজ শুরু না করা, প্রটেকশান ব্যবস্থা না নেওয়ায় মধ্যম চাপড়ায় বাঁধে ভাঙ্গন, মানিকখালী চরে বাঁধ ভেঙ্গে মৎস্য ঘের, পুকুর ও ঘরবাড়ি নিমজ্জিত হয়েছে। ভাঙ্গন স্থান পরিদর্শন করেন, পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আশিকুর রহমান ও আশাশুনির সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইন।
পরিদর্শনকালে চর রক্ষায় প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মানসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কথা জানান হয়। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আকাশ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায় ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আশিকুর রহমান গোয়ালডাঙ্গা বাজারে ভাঙ্গন স্থান পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আশিকুর রহমান বলেন, এটি পাউবোর রাস্তা না। এ রাস্তাটা নদী খননকৃত মাটি তবুও এটি নদী রক্ষা বাঁধ। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জরুরি ভাবে জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ করে আটকানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।