নৌপথে ৯ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
মইনুল হক মৃধা-রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার ৩রা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:১০ পূর্বাহ্ন
নৌপথে ৯ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু

ঘন কুয়াশার কারণে ৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সোমবার সকাল ৯টা থেকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। রবিবার রাত ১২টার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।  


দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাটে আটকে পড়ে অসংখ্য যানবাহন ও যাত্রী। বিশেষ করে পণ্যবাহী ট্রাক ও দূরপাল্লার বাসের চালকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। অনেক যাত্রী খোলা আকাশের নিচে অপেক্ষা করতে বাধ্য হন, যা তাদের জন্য কষ্টদায়ক হয়ে ওঠে।  


সোমবার সকাল ৯টার দিকে কুয়াশা কেটে গেলে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন জানান, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় ১৫টি ফেরি যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে নিয়োজিত রয়েছে।  


ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় ঘাটে আটকে থাকা যানবাহন ধীরে ধীরে পারাপার হতে শুরু করেছে। তবে দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধ থাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়, যা স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। অনেক চালক জানান, ফেরি বন্ধ থাকায় তাদের নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।  


সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শীত মৌসুমে ঘন কুয়াশার কারণে মাঝেমধ্যেই ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়, তবে নিরাপত্তার স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নৌপথে দুর্ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে ফেরি চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখে, যা যাত্রীদের জন্য কিছুটা ভোগান্তির হলেও নিরাপত্তার দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ।  


যাত্রীরা জানান, ফেরি বন্ধ থাকায় প্রচণ্ড শীতে ঘাটে অপেক্ষা করা ছিল কষ্টকর। অনেকেই বাস কিংবা ট্রাকের ভেতর আশ্রয় নিলেও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে তা সম্ভব হয়নি। কিছু যাত্রী ফেরি চালুর অপেক্ষায় রাত কাটাতে বাধ্য হন।  


ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, যানবাহনের চাপ কমাতে দ্রুত ফেরি সার্ভিস চালু রাখার চেষ্টা চলছে। ফেরি সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি ঘাটে যানজট নিরসনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যাতে যাত্রীদের ভোগান্তি কমে।  


সংশ্লিষ্টদের মতে, ঘন কুয়াশায় নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়া একটি সাধারণ ঘটনা, তাই যাত্রীদের সতর্ক থাকতে হবে। ঘাট এলাকায় নৌবন্দর কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, যাতে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখা যায় এবং যাত্রী ও চালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।