বরিশালে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৮ই এপ্রিল ২০২৪ ০৮:১৭ অপরাহ্ন
বরিশালে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ

গত কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহে পুড়ছে বরিশাল নগর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলার জনপদ। তীব্র গরমে বিপর্যস্থ হয়ে পড়ছে জনজীবন। অসনীয় গরমে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিন-মজুর খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। তবে জীবিকার তাগিদে তীব্র রোদেই কাজে বের হতে হয় তাদের। প্রখর রৌদ্র ও গরমের তীব্রতা এতটাই বেশি যে বাইরে কাজে বের হয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। একটু স্বস্তি পেতে অনেকে আষ্রয় নিচ্ছেন পার্কে কিংবা রাস্তার পাশে গাছের ছায়ায়। এদিকে তাপমাত্রা নিয়ে ভালো খবর দিতে পারছে না আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বরিশালে সহসাই বৃষ্টির দেখা মিলবে না। বরং বাড়তে পারে তাপের তীব্রতা।


বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল জানান, ২০১২ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এবার বরিশালে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে গত ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার। ওইদিন তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৭ সেলসিয়াস। আজ বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ছিল ৩৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াল, বুধবার ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াল, সোমবার ৩৭.৬, রবিবার ৩৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াল, শনিবার ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াল। 


তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে। বরিশালে আগের মতো বড় বড় গাছ নেই, পুকুর নেই, খালেরও পানি প্রবাহ নেই। ফলে বাতাসের সঙ্গে ময়েশ্চার বহন করে না, সবকিছু শুষ্ক হয়ে যাওয়ায় গরমের তীব্রতা বাড়ছে। শুক্রবারের পর থেকে তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে  বলেও জানান তিনি।


জানা যায়, বৈশাখ মাস শুরুর পর থেকেই বরিশালে বইছে তীব্র তাপদাহ। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। প্রচন্ড গরমে কাজ করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। দিন মজুর থেকে শুরু করে নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে অন্য সবার চেয়ে বেশি। রিকশাচালক বেল্লাল হোসেন বলেন, গরম আর শীত নাই। আমাদের সবসময়ই পেটের তাগিদে রাস্তায় থাকতে হয়। তবে গরমের কারণে যাত্রীও অনেক কম বলেন তিনি।


দুপুর ১২টা পর্যন্ত কাজের জন্য অপেক্ষা করে বাড়ি ফিরছিলেন কালু ফকির। তিনি বলেন, বয়স একটু বেশি, তাছাড়া রোদে কাজ করতে পারব কিনা এমনটা ভেবে তাকে কাজে নেয়নি কেউ। 


চিকিৎসকদের মতে, তীব্র গরমে পানিশূন্যতা কিংবা হিটস্ট্রোক হতে পারে। এ ক্ষেত্রে একটানা কাজ না করে, বিশ্রাম নিয়ে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি পানিশূণ্যতা এড়াতে খাবার স্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।