সময় টেলিভিশনের বরিশাল ব্যুরো প্রধান অপূর্ব অপুকে লাঞ্ছিতের পর প্রাইভেটকারে অপহরণচেষ্টা করা হয়েছে। ছাত্রদলের সাবেক নেতা জেহাদের নেতৃত্বে ৬ জন এ অপহরণচেষ্টায় অংশ নেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সময় টিভির বরিশাল ব্যুরো প্রধানকে অপহরণচেষ্টা
রোববার (২৯ মে) বিকেল সাড়ে ৩টায় নগরীর শীতলা খোলা এলাকার মুমীতু কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী অপূর্ব অপু বলেন, ‘উজিরপুরে সড়ক দুর্ঘটনার খবর সংগ্রহ করে বাসায় এসেছিলাম দুপুরের খাবার খেতে। খাবার খেয়ে হেঁটে নগরীর কালিবাড়ি রোডে সময় টিভির অফিসে যাওয়ার সময় মুমীতু কমিউনিটি সেন্টার থেকে এক ব্যক্তি রিকশায় এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে। নিউজ কেন করি, এই সব নিয়ে গালাগাল করতে থাকে। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি আমার দিকে ইট ও কাদা ছুড়ে মারে। পরে আমি দৌড় দিয়ে মুমীতু কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এলে আরও এক ব্যক্তি আমাকে সাদা একটি প্রাইভেটকারে (বরিশাল মেট্রো গ ১১২১৫৫) ওঠানোর চেষ্টা করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেখান থেকে আবার দৌড় দিয়ে আমি পালিয়ে চলে আসি। এরপর সহকর্মী ও পুলিশকে ফোন দেই। আমার মাথায় আঘাত করা হয়েছে। কী কারণে বা কেন এ হামলা করেছে সেটা বলতে পারছি না।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘প্রাইভেটকারে করে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে। সাংবাদিক অপু দৌড়ে পালিয়ে রক্ষা পেয়েছেন। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের মধ্যে ছাত্রদলের সাবেক নেতা জেহাদ, মামুন ও আলমসহ মোট ৬ জন ছিলেন।’
সাংবাদিক ইউনিয়ন বরিশালের সভাপতি সাইফুর রহমান মিরণ বলেন, ‘প্রকাশ্যে একজন সাংবাদিককে অপহরণের যে চেষ্টা করা হয়েছে তা উদ্বেগজনক। আমরা এর বিচার চাই ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক হরিদাস নাগ বলেন, ‘আমরা সিসি টিভি ফুটেজ দেখেছি। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুমীতু কমিউনিটি সেন্টারের মালিক শাহিন মল্লিক মামুনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।’
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মঞ্জুর হোসেন বলেন, ‘ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসেছি। ঘটনার তদন্ত চলছে। দোষীদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।