৭৮ বছরের ব্রাজিলীয় কিংবদন্তি তার ফুটবল জীবনে এক হাজার গোল করেছেন বলে শোনা যায়। তিনি নিজেও এমনটাই দাবি করেন। সেখানে ফ্রান্সের এ বারের রাশিয়া বিশ্বকাপ জয়ের প্রধান নায়ক এমবাপে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১০৩ গোল করেছেন। তার মধ্যে ৯২টি ফুটবল প্রতিযোগিতার উচ্চ স্তরে। কিন্তু একটি অনুষ্ঠানে প্যারিসে এসে পেলে বলেছেন, ‘‘আমি ১,০২৫টি গোল করেছিলাম। ওর পক্ষে এক হাজার গোল করা সম্ভব।’অনুষ্ঠানে এমবাপেও ছিলেন।গত বছর রাশিয়া বিশ্বকাপে পেলের পরে প্রথম টিনএজার হিসেবে ফাইনালে গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন এমবাপে। ফ্রান্স সেই ফাইনালে ৪-২ হারায় ক্রোয়েশিয়াকে। পেলের মন্তব্য শুনেই অবশ্য এমবাপে বলে দেন, তাঁর পক্ষে কখনওই কিংবদন্তির এক হাজার গোলের কীর্তি স্পর্শ করা সম্ভব নয়। ‘প্লে স্টেশনের গোল ধরলেও আমার পক্ষে এক হাজার গোলে পৌঁছনো সম্ভব নয়,’ পিএসজির ২০ বছরের ফরোয়ার্ড বলে দেন। যোগ করেন, ‘আমরা সকলেই হয়তো কাছে যাওয়ার চেষ্টা করব এবং কেরিয়ারের শেষে সকলেই অনেক পিছনে পড়ে থাকব।’ চলতি মৌসুমে পিএসজির হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩২টি গোল করেছেন এমবাপে। এর মধ্যে লিগ ওয়ানে ২৪ ম্যাচে করেছেন ২৭ গোল।
১৯৬২-তে দ্বিতীয় বার বিশ্বকাপ জেতার সময় পেলের বয়স ছিল মাত্র ২১। এমবাপেও মন্ত্রমুগ্ধের মতো বলে গেলেন, ‘ফুটবলে এক জনই রাজা ছিল। এক জনই রাজা থাকবে। তিনি আমাদের মধ্যে আছেন আজ। আমি শুধুই কিলিয়ান। চেষ্টা করছি নিজের সেরাটা দিয়ে ক্লাব এবং জাতীয় দলকে সাহায্য করে যেতে।’পেলের সঙ্গে তুলনায় যে তিনি আহ্লাদিত, তা গোপন করেননি। কিন্তু তার পরেই তাঁর স্বীকারোক্তি, ‘তুলনাটা শুনতে দারুণ লাগছে ঠিকই কিন্তু আমিও জানি কখনও উনি যা সব করে দেখিয়েছেন, আমি পারব না। আমি শুধু পিএসজি ও ফ্রান্সকে সাহায্য করে যেতে চাই।’এমবাপের সঙ্গে কিংবদন্তি পেলের তুলনা শুরু হয়েছিল রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকেই। সব মিলিয়ে চারটি গোল করেছিলেন তিনি। কিন্তু আর্জেন্টিনার সঙ্গে তাঁর দুর্ধর্ষ খেলা দেখে ফুটবল বিশ্ব টিনএজার পেলের ছায়া দেখতে শুরু করে। এমবাপে যদিও বলে দিচ্ছেন, ‘পেলে যখন খেলছিলেন, তিনি ভাবেননি যে, আমাকে বিশ্বের সেরা ফুটবলার হতে হবে। উনি খেলাকে উপভোগ করতে চেয়েছিলেন, দেশ এবং ক্লাবকে ম্যাচ জেতায় সাহায্য করার কথা ভেবেছিলেন। যোগ করেন, ‘আমি চাই পিএসজি ও ফ্রান্সকে সাহায্য করতে। তার পর লোকেই বলবে, কে সেরা। সকলে বলেন, পেলেই সেরা। যিনি সেরা, তাকে বলতে হয় না।’