কিছু কিছু গণমাধ্যম এখনও তাদের চরিত্র থেকে বের হতে পারেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:০৯ অপরাহ্ন
কিছু কিছু গণমাধ্যম এখনও তাদের চরিত্র থেকে বের হতে পারেনি

কিছু কিছু গণমাধ্যম এখনও তাদের চরিত্র থেকে বের হতে পারেনি । শুধুমাত্র খোলস বদলে ফেলেছে।ছাত্র জনতার বিপ্লবকে অভ্যুত্থান উপাধি দিয়ে বিপ্লবের যে স্পিরিট তা দুর্বল করে দিয়েছে। একটি বিপ্লব সংঘটিত হলে ফ্যাসিস্ট সহ তাদের যত দোসর থাকে তারা জনরোষে পরবে এটাই স্বাভাবিক । কিন্তু বিপ্লবকে এবং বিপ্লবীদের দুর্বল করার জন্য ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান ট্যাগ লাগিয়ে সংবিধান, অন্তবর্তী সরকার গঠনের বৈধতা, সংবিধান সংস্কার, সংশোধন, আইনের দোহাই ইত্যাদি দিয়ে ছাত্রজনতার বিপ্লবকে রাজনৈতিক পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করছে কিছু রাজনৈতিক কুচক্রী ।


আর গণমাধ্যম বেছে বেছে তাদের কে কাভারের দিচ্ছে । আগেও লক্ষ্য করেছি মুক্তি যুদ্ধের চেতনা পুঁজি করে এবং তা বিক্রি করে  কত তথাকথিত বুদ্ধি পরজীবীরা সমাজে এবং রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং রাষ্ট্রের সকল সুবিধা ভোগ করে নিজেদের বিত্ত বৈভব সঞ্চয় করেছে।ঠিক একই ভাবে বর্তমান সময়ে সেই পুরোনো স্টাইলে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, সংবিধান, ৭২এর সংবিধান, অন্তবর্তী সরকারের বৈধতা, মেয়াদ,সংস্কার ইত্যাদি ইস্যু তুলে ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে আর সেই সমস্ত সুযোগ সন্ধানীদের কাভারেজ দিচ্ছে কিছু গণমাধ্যম । যাদের চেহারা আমরা কোন দিন দেখিনি তারাই আজ গণমাধ্যমের বদৌলতে জনগনের সামনে এসে নীতিবাক্য কপচাচ্ছেন ।


একটা বিপ্লবী সরকার জনগণের স্বার্থে যা করবেন তাই বৈধ । আমাদের সংবিধান যদি জনগণের স্বার্থ রক্ষা না করে তবে সে সংবিধান অবশ্যই বদলে ফেলা উচিৎ । যে সকল আইন মানুষের মানবাধিকার বিরোধী সে সকল সব আইন বদলে ফেলে জনস্বার্থের আইন প্রতিস্থাপন করতে হবে। বিপ্লবের উদ্দেশ্য যদি সরকার বদল হয় তবে সে বিপ্লব অর্থহীন এবং মূল্যহীন সেই সাথে শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানী । 


বিপ্লবী সরকার শুধু মাত্র জনগনের কাছে জবাবদিহি করবে প্রচলিত আইন কিংবা সংবিধানের কাছে নয়।আবারও গণমাধ্যমের কাছে অনুরোধ বিপ্লব বিরোধী কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকুন । 

ইনকিলাব জিন্দাবাদ ।