জুলাইয়ে রফতানীতে সুবাতাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২রা আগস্ট ২০২২ ০৬:৩০ অপরাহ্ন
জুলাইয়ে রফতানীতে সুবাতাস

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চলমান জ্বালানি সংকট ও মুদ্রাস্ফীতির মাঝেও রফতানিতে সুবাতাস বইছে। চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশের পণ্য রফতানি হয়েছে ৩ হাজার ৯৮৪ দশমিক ৮২ মিলিয়ন ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ।


মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।


ইপিবির তথ্য মতে, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সরকারের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৯২০ মিলিয়ন ডলার। সেখানে রফতানি আয় হয়েছে ৩ হাজার ৯৮৪ দশমিক ৮২ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার  চেয়ে ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ রফতানি আয় বেড়েছে। এর আগের অর্থবছরের (২০২১-২২) জুলাই মাসে রফতানি আয় ছিল ৩ হাজার ৪৭৩ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলার।  এই হিসাবে ২০২১ সালের জুলাই মাসের তুলনায় ২০২২ সালের জুলাইয়ে ৫১ কোটি ১৩ লাখ ৯ হাজার ইউএস ডলার বেশি রফতানি আয় হয়েছে। যা শতাংশের হিসাবে ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ। এর মধ্যে চলতি বছরের জুলাইয়ে তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে ৩৩৬ কোটি ৬৯ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার, যা ২০২১ সালের জুলাইয়ে রফতানি হয়েছিল ২৮৮ কোটি ৭২ লাখ ১০ হাজার ইউএস ডলার।


অর্থাৎ, ২০২১ সালের জুলাই মাসের তুলনায় ২০২২ সালের জুলাই মাসে ৪৭ কোটি ৯৭ লাখ  ডলার পরিমাণ রফতানি আয় বেড়েছে। যা শতাংশের হিসাবে বেড়েছে ১৬ দশমিক ৬১ শতাংশ।


এ প্রসঙ্গে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনীতির এই কঠিন সময়ে যেখানে আমাদের অর্থনীতি আমদানিকৃত মুদ্রাস্ফীতির মুখোমুখি, ইউরো মুদ্রা মার্কিন ডলারের বিপরীতে কমছে। এই অবস্থায় জুলাই মাসে রফতানি আয় বেড়েছে— এটা আমাদের জন্য পজিটিভ। তবে বৈশ্বিক মন্দায় আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হচ্ছে।’


রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য বলছে, তৈরি পোশাক তথা নিট ও ওভেন মিলিয়ে ৩৩৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে জুলাইয়ে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। গত বছরের জুলাইয়ে ২৮৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করা হয়েছিল।


এছাড়া কৃষি, হস্তশিল্প ও কেমিক্যাল পণ্য রফতানি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে কমেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৮ বিলিয়ন ডলারের রফতানি আয়ের লক্ষ্য ধরেছে সরকার।


তথ্য বলছে, জুলাইয়ে প্লাস্টিকের পণ্য রফতানি হয়েছে ৪৪ দশমিক ৩২ শতাংশ, ম্যানুফ্যাকচার্ড কমডিটিজের পণ্য ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ, চামড়াজাত পণ্য ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ, তৈরি পোশাকে ১৬ দশমিক ১৬ শতাংশ, পাটজাত পণ্যে ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।