'ডাকাত চক্রের হোতা' জুয়েলারি ব্যবসায়ী!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ১১ই জানুয়ারী ২০১৯ ০৬:৪৬ অপরাহ্ন
'ডাকাত চক্রের হোতা' জুয়েলারি ব্যবসায়ী!

টঙ্গির আফতাব প্লাজায় পোদ্দার জুয়েলারি স্টোরের কর্ণধার প্রদীপ পোদ্দার। জুয়েলারি ব্যবসার আড়ালে গড়ে তোলেন একটি ডাকাত চক্র। বৃহস্পতিবার রাতে প্রদীপ পোদ্দারসহ এই চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-১। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতিকৃত বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। অন্য আটকরা হলেন- দুলাল হোসেন, রাসেল, জাকির হোসেন, কোকিলা বেগম ওরফে প্রেরণা ও হাজেরা বেগম। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারের র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম। তিনি বলেন, সম্প্রতি ঢাকার উত্তরা ও গাজীপুর এলাকার বিভিন্ন বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে এই চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করা হয়। র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ‘চক্রের মূলহোতা প্রদীপ পোদ্দারের টঙ্গির আফতাব প্লাজায় একটি জুয়েলারির দোকান আছে। এর আড়ালে গড়ে তোলেন একটি ডাকাত চক্র। যাদেরকে কাজ না থাকলে আর্থিক সহায়তা দেন প্রদীপ। ডাকাতির সময় কেউ গ্রেপ্তার হয়ে গেলে তাদেরকে আইনি সহায়তার জন্য উকিল নিয়োগসহ তাদের পরিবারের দায়িত্বও নিতেন তিনি। একাধিক ডাকাতি চক্রের ডাকাতিকৃত মালামালও স্বল্প মূল্যে কিনে রাখতেন প্রদীপ। এছাড়া, গত প্রায় ১০ বছর ধরে নিজে ইয়াবা সেবনের পাশাপাশি ইয়াবা ব্যবসাও চালিয়ে আসছিেন

র‌্যাব-১ অধিনায়ক বলেন, আটক দুলাল পেশায় একজন কাপড় ব্যবসায়ী। সে উত্তর বাড্ডা থেকে গার্মেন্টস পণ্য কিনে গাজীপুর ও উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতো। এই সুযোগে বিভিন্ন বাসায় ঢুকে বাসার সদস্যদের গতিবিধি লক্ষ্য করতো। যেসব বাসা বন্ধ থাকতো সেসব বাসার দরজা ভেঙে চক্রের অন্য সদস্যদের সহায়তায় ডাকাতি করতো। কোন বাসায় কম সদস্য থাকলে তাদেরকে বেঁধে মালামাল লুট করে নিতো। কিছুদিন আগে টঙ্গির একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির সিসিটিভি ফুটেজে দুলালকে দেখা গেছে। সে ইতোপূর্বে একাধিকবার গ্রেপ্তার হয় এবং প্রায় আড়াই বছর কারাভোগ করে। এরপর জামিনে বের হয়ে আবার একই কাজ শুরু করে। রাসেল, জাকির এই চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা অসংখ্যবার চুরি-ডাকাতিতে অংশ নেয়। দুলালের স্ত্রী কোকিলা এবং দুলালের মা হাজেরাকেও আটক করা হয়েছে। কারণ তারা ডাকাতিকে সমর্থন দেওয়ার পাশাপাশি ডাকাতিকৃত মালামাল নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করে রাখতো। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান সারোয়ার বিন কাশেম।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব