করোনা ভাইরাস নিয়ে যখন বাংলাদেশসহ সমগ্রহ বিশ্ব এক আতংকের মধ্যে রয়েছে ঠিক তখনও ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলায় সরকারী ব্যাংক ও বে-সরকারী সংস্থা আশা গ্রামীণ ব্যাংক ইএসডিও ব্রাক টিএমএসএস এনজিও গুলো তাদের বিতরণ কৃত ঋণের কিস্তি তোলা বন্ধ করেনি। আর এ নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা। এদিকে করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে মানুষের অবাধ চলাফেরা সহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে।
রোববার সকালে ভ্যান শ্রমিক আমিরুল জানান, বর্তমানে সারাদিন ভ্যান চালিয়ে ভাড়া হয় এক থেকে দেড়শত টাকা মাত্র। যা দিয়ে জীবন চলায় দূর্বিসহ। আগামী বুধবারের আশার কিস্তি রয়েছে প্রায় সাতশত টাকা। যে ভ্যান ভাড়া তাতে সংসার চালাতে শেষ। কিস্তি দিব কিভাবে।
একই ভাবে দিনমুজুর সালাম বলেন, মানুষের বাড়ীতে আপাতত কাজ হচ্ছে না। কোন আয় ইনকাম নেই। অথচ কিস্তি মঙ্গলবার রয়েছে পাচঁশত টাকা। এদিকে ক্ষুদ্র ও ভাম্যমাণ ব্যবসায়ীরাও রয়েছে বিপাকে তাদেরও বেচা কেনা নেই।
ভাম্যমাণ ব্যবসায়ী (শাড়ি,হাড়ি পাতিল) নাজমুল হোসেন বলেন, আগে গ্রাম গঞ্জে গিয়ে দিনে এক থেকে দেড় হাজার টাকা বিক্রি হত। কিন্ত বর্তমানে তা একেবারে নেই আতংকে মানুষ আমাদের তাদের পাড়া মহল্লায় যেতে দেয় না। এবং সাধারণ মানুষও আগের মত চলাফেরা করে না। ঋণ নিয়ে নিজেদের ভাগ্যবদল চেষ্টাকারী ব্যক্তিরা বর্তমান পেক্ষাপটে কিস্তি তোলা বন্ধ করার আহবান জানিয়েছেন।
গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজার ফরিদ হোসেন বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের কিস্তি তোলা বন্ধ করার নির্দেশ দেয় নি। তাই বন্ধ করিনি। একইভাবে সকল এনজিও এখনো তাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ না আসায় কিস্তি তোলা বন্ধ করে নি।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।