প্রকাশ: ৬ জুন ২০২১, ১২:১৮
স্বামী থাকেন বাহিরের রাজ্যে। এদিকে শ্বশুরের জ্বর ও কোভিডের উপসর্গ দেখা দিলে পুত্রবধূ নীহারিকা অনেকের সাহায্য চেয়েও পাননি। করোনা পরীক্ষা করাতে নিয়ে যেতে তাই শ্বশুরকে পিঠে করে নিয়ে তিনি রওনা হন রহা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে তার শ্বশুরের করোনা ধরা পড়ে। করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন নীহারিকাও।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের আসামের রাজ্যের নগাঁও জেলায়।
এক নারীর পিঠ আঁকড়ে ধরে আছেন বৃদ্ধ। বৃদ্ধকে কাঁধে নিয়ে দ্রুত হাসপাতালের দিকে যাচ্ছেন ওই নারী। নীহারিকা দাসের এ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
জানা গেছে, বাড়িতে ৭৫ বছর বয়সি শ্বশুর থুলেশ্বরের দেখভালের পাশাপাশি সংসার সামলান নীহারিকা।
পরে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে থুলেশ্বর বাবুকে হাসপাতালে ও নীহারিকাকে হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়। কিন্তু শ্বশুরকে একা ছাড়তে রাজি হননি নীহারিকা। অপেক্ষা করতে থাকেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
এ এক অন্যরকম মানবপ্রেম। পরে চিকিৎসক সঙ্গীতা ধর নীহারিকা ও তার শ্বশুরকে অ্যাম্বুল্যান্সে ভোগেশ্বর ফুকনানি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ড থেকে আইসিইউতে ভর্তি শ্বশুরের সেবা করছিলেন নীহারিকা। ছবির পাশাপাশি সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এ সময় নীহারিকা শ্বশুরকে সাহস দেন নানা কথা বলে।
কিন্তু থুলেশ্বর বাবুর অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। কিন্তু তার সঙ্গে আসতে পারেননি নীহারিকা।
এক ভিডিও বার্তায় তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, শ্বশুরের রক্ত লাগবে শুনছি। তার পাশে কেউ নেই। আমার নিজের শরীর ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। শক্তি শেষ হয়ে আসছে।
দয়া করে আমায় গুয়াহাটির একই হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। না হলে শ্বশুরকে সাহায্য করার কেউ থাকবে না।
নীহারিকার ছবি ও ভিডিও দেখে মুগ্ধ অভিনেত্রী আইমি বরুয়া বলেন, নারীশক্তির অনন্য চেহারা নীহারিকা।