উল্লাপাড়ার আগরপুরে পীর আগর আলী রহমাতুল্লাহি আলাইহি কওমিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার ২১তম বার্ষিক জালসা অত্যন্ত ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ ডিসেম্বর, বুধবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এ জালসা এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে এক মহৎ উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
ধর্মীয় শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে মাদ্রাসাটি দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ মাদ্রাসায় বর্তমানে হিফজ বিভাগ, নূরানী বিভাগ এবং কেতাব বিভাগ চালু রয়েছে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মাদ্রাসার উন্নয়ন অব্যাহত থাকায় ইতোমধ্যে তিন তলা ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এর নির্মাণকাজের অর্থের যোগান দিতে মাদ্রাসার উন্নতিকল্পে এই বার্ষিক জালসার আয়োজন করা হয়।
জালসায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের আলোড়ন সৃষ্টিকারী বক্তা মাওলানা রুহুল আমিন যুক্তিবাদী সাহেব, বগুড়া। তার তাফসির বক্তব্য উপস্থিত হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ নর-নারীকে মুগ্ধ করে। দ্বিতীয় বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন সলঙ্গা ফাজিল সিনিয়র মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আলহাজ্ব মাওলানা তাজউদ্দীন ফিরোজী সাহেব।
জালসার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন মোঃ শাহ আলম সেখ। জালসার সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ছিল আগরপুর, উত্তর কালিকাপুর এবং খোর্দশিমলার যুব সমাজের ওপর। তাদের চেষ্টায় পুরো আয়োজন ব্যতিক্রমধর্মী হয়ে ওঠে। মূল প্যান্ডেলের পাশাপাশি এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চমৎকার আলোকসজ্জা করা হয়। বর্ণিল আলোকসজ্জা সবাইকে মুগ্ধ করে।
জালসার আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো যুব সমাজের আর্থিক অবদান। তাদের উদ্যোগে আয়োজিত এ জালসার যাবতীয় ব্যয় মেটানোর পরও উদ্বৃত্ত টাকা মাদ্রাসার ফান্ডে জমা দেওয়া হয়েছে। এ মহানুভবতা এলাকাবাসীর মনে গভীর প্রশংসার জন্ম দিয়েছে।
জালসার মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব, মাদ্রাসার উন্নয়নে সকলের অংশগ্রহণ, এবং যুব সমাজের একাত্মতা নতুন মাত্রা পেয়েছে। এমন উদ্যোগ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর টেকসই উন্নয়নে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি জানিয়েছে, ভবিষ্যতে আরও বড় আকারে বার্ষিক জালসার আয়োজন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।