সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ, যিনি গত দুই দশক ধরে দেশটির শাসন করছিলেন, এবার সিংহাসন থেকে সরে গেছেন। বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়'আত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) দামেস্ক দখল করার পর রোববার ভোরে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন তিনি। তবে পালানোর পথে বিমানে দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যা নিয়ে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে।
ইরানের বার্তা সংস্থা মেহের নিউজ এবং সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আসাদকে বহনকারী বিমানটি উড্ডয়নের পর রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় এবং একাধিক সূত্র জানায়, বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। বিমানটি মাঝপথে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার পর তার জীবন নিয়ে অনেকের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
এদিকে, সিরিয়ার দুটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, প্রেসিডেন্ট আসাদের বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি। বিমানের আকস্মিক ইউটার্ন এবং রাডার থেকে অদৃশ্য হওয়া ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। তবে, বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এই মুহূর্তে বিমানে কারা ছিলেন তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
রোববার ভোরে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে প্রেসিডেন্ট আসাদ সরকারের পতন ঘটে। বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়’আত তাহরির আল-শাম দামেস্ক দখল করার পর, আসাদ পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এর আগে তিনি দীর্ঘ ২৪ বছর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় ছিলেন এবং তার শাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর প্রতিরোধের মুখে পড়েছিলেন।
প্রেসিডেন্ট আসাদ একাধিকবার রাশিয়ার সমর্থন নিয়ে তার শাসন টিকিয়ে রাখলেও, অবশেষে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর শক্তিশালী আক্রমণে তার সরকারের পতন ঘটে। বর্তমানে, আসাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত না হলেও, সিরিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি চরম উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এখন পর্যন্ত বাশার আল আসাদের জীবিত অবস্থান বা দুর্ঘটনায় তার অবস্থা নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে সিরিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।