বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, আজ আমরা মুক্ত, স্বাধীন এবং ভালো আছি। তবে, গত ১৭ বছর বরিশালে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে চালানো দুঃশাসন, অত্যাচার এবং নিপীড়নের কারণে অনেকেই ঘরে থাকতে পারেনি। এই সময়ে অনেক নেতাকর্মী গুম, হত্যা, হামলার শিকার হয়েছেন। কিন্তু, আজ আমরা মুক্ত বাতাসে একত্রিত হয়ে বিএনপির পরিবার হিসেবে আবারও শক্তি প্রকাশ করছি।
রবিবার সকালে বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির আয়োজনে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সেলিমা রহমান আরও বলেন, গত ১৭ বছরের সংগ্রাম, আন্দোলন এবং জনগণের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আজ দেশ থেকে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা মুক্ত, স্বাধীন হলেও দেশ থেকে পালিয়ে যাননি স্বৈরাচারের দোসররা। তারা দেশে অবস্থান করে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে এবং বিএনপির মধ্যে কোনো অনুপ্রবেশকারী যেন ঢুকতে না পারে।
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজ চাঁদাবাজি হচ্ছে, কিন্তু এগুলো বিএনপি করছে না। কারণ বিএনপি দীর্ঘ ১৭ বছর নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েছে, জেল খেটেছে, আদালতে গিয়ে বিচার চেয়েছে। বিএনপির বিরুদ্ধে চালানো এসব অপপ্রচার বন্ধ করতে হবে এবং যারা এসব করছে তাদের ধরিয়ে দিতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আপনারা বিএনপির ৩১ দফার বার্তা নিয়ে প্রতিটি মানুষের কাছে যাবেন। সবার কাছে সহজ ভাষায় কথা বলবেন এবং এই আন্দোলনকে শক্তিশালী করবেন। আমাদের আন্দোলন শেষ হয়নি। ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও তৎপর রয়েছে, তাই একসাথে থাকতে হবে এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৩১ দফা প্রণয়ন কমিটির সদস্য ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, মজিবর রহমান সরোয়ার, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, বিএনপির বরিশাল বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হক নান্নু, নির্বাহী কমিটির সদস্য নেওয়াজ হালিমা আরলী, কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা হাবিব, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য প্রফেসর মোর্শেদ হাসান খান প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।