বাংলাদেশ শান্তিতে না থাকলে, দিল্লিও থাকতে পারবে না: সোহেল

নিজস্ব প্রতিবেদক
সৌরভ নূর , বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:৩৬ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ শান্তিতে না থাকলে, দিল্লিও থাকতে পারবে না: সোহেল

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, “যদি ঢাকা শান্তিতে না থাকে, দিল্লিও শান্তিতে থাকতে পারবে না।” মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন। 


হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, “গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে আমরা বিজয়ের খুব কাছাকাছি আছি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দিক-নির্দেশনায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এই রাস্তাটুকু সফলভাবে অতিক্রম করতে সক্ষম হব।” তিনি অভিযোগ করেন যে, সরকার বিরোধী দলের দাবি না মেনে জনগণের ক্ষোভ বাড়িয়ে তুলেছে এবং জাতীয় ক্ষতির পরিণতি হিসেবে সীমান্তের ওপারেই অবস্থান করছে।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আমরা বারবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়েছিলাম, কিন্তু শেখ হাসিনা আমাদের কথা শোনেননি। দাদাবাবুদের কথা শুনেছেন। যদি আমাদের কথা শুনতেন, তাহলে জনগণের ক্ষোভ এতটা তীব্র হতো না এবং এভাবে পালাতে হতো না। এখন সীমান্তের ওপারেও আমাদের দেখা যাবে।”


আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি সোহেল বলেন, “যে দলের নেতারা কর্মীদের রেখে পালিয়ে যায়, সেই দলের কোনও মূল্য নেই। এবং যারা শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে, যারা ১৫ দিনে ৯০০ নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে, তাদের জানিয়ে দিতে চাই—যদি ঢাকা শান্তিতে না থাকে, দিল্লিও শান্তিতে থাকতে পারবে না। আমরা জানি কীভাবে তা করতে হয়।”


সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম আজাদ বক্তব্য রাখেন। 


এছাড়া, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ঢাকা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুলসহ হাজারো নেতাকর্মী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। 


সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীরা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সরকারের প্রতি কঠোর প্রতিরোধের বার্তা দেন।