প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৩:১৪
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–এর মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, শাপলা জাতীয় প্রতীক হওয়ার কারণে যদি তা রাজনৈতিক প্রতীক হিসেবে না দেওয়া যায়, তাহলে ধানের শীষ প্রতীকও বাতিল করতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন দ্বিচারিতা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এভাবে কাজ করলে তাদের কোনো প্রয়োজন নেই।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাতে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ধামতীর ইউনিয়নের চৌধুরী বাড়িতে আয়োজিত ‘উঠানে রাজনীতি’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “ধানের শীষ জাতীয় প্রতীকে রয়েছে। যদি শাপলা না দেওয়া হয়, তাহলে ধানের শীষ প্রতীকও বাতিল করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত আমরা অন্যায় ও পক্ষপাতমূলক মনে করি। এই কমিশনের আমাদের নিবন্ধনের দরকার নেই।”
তিনি বলেন, “জাতীয় নাগরিক পার্টি একটি বিপ্লবী ফোর্স। আমরা বিপ্লবের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করতে বদ্ধপরিকর। জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।”
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “বর্তমান নির্বাচন কমিশন স্বৈরাচারী আচরণ করছে। আমরা দেখছি, আউয়াল কমিশন আগের যে কোনো কমিশনের চেয়েও নিচু স্তরের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এর আগে ছিল নুরুল হুদা কমিশন—যার দায়িত্বহীনতার প্রতীক হিসেবে তার জুতার মালার ভাস্কর্য আগারগাঁওয়ে স্থাপন করা উচিত, যেন ভবিষ্যতে কেউ দায়িত্বে অবহেলা না করে।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন কমিশন নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরা নিচ্ছে না। তাদের ওপর এক্সটার্নাল ফোর্সের প্রভাব রয়েছে। কমিশনের রিমোট কন্ট্রোল আগারগাঁওয়ে নয়, অন্য কোথাও থেকে পরিচালিত হচ্ছে।”
শাপলা প্রতীক নিয়ে অনড় অবস্থান জানিয়ে হাসনাত বলেন, “আমরা শাপলা মার্কা নিয়েই নির্বাচন করব। কেউ আমাদের ঠেকাতে পারবে না। কমিশন ব্যাখ্যা না দিয়ে প্রতীক না দিলে তা গণতন্ত্রবিরোধী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হবে।”
শেষে তিনি নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনারা জনগণপন্থী হয়ে, আইন মেনে সিদ্ধান্ত নিন। একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান কখনোই স্বেচ্ছাচারীভাবে কাজ করতে পারে না। জনগণের আস্থা ফেরাতে হলে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।”