প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৩৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের আওতায় সচেতনতামূলক কর্মশালা এবং আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলনকক্ষে এ কর্মশালা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। পর্যায়ক্রমে দুপুর পর্যন্ত দুটি অনুষ্ঠান চলে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোশারফ হোসাইন। গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের জেলা সমন্বয়ক মেরাজুল ইসলাম কর্মশালায় গ্রাম আদালতের গুরুত্ব ও কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, গ্রামীণ জনগোষ্ঠী যাতে সহজে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পেতে পারে, সে জন্য গ্রাম আদালত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আনিছুল ইসলাম ঠাকুর, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. পারভেজ আহমেদ, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. জামাল উদ্দিন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন এবং উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মনির মিয়া। বক্তারা গ্রাম আদালতের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তির দিকটি তুলে ধরেন।
এছাড়া আরও বক্তব্য দেন সরাইল রিপোর্টার ইউনিটি সাধারণ সম্পাদক মো. তাসলিম উদ্দিন, মাওলানা মইনুল ইসলাম খন্দকার, সরাইল উপজেলা এনসিপির সমন্বয়ক হাজী মোবারক হোসাইন, নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমেদ, সরাইল সুকের পরিচালক আব্দুল মমিন ও সরাইল সদর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া।
অনুষ্ঠানে সরাইল উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম বাকি বিল্লাহ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জান্নাত সুলতানা, উপজেলা মাধ্যমিক অফিসের ইতি বেগম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী কর্মকর্তা সায়মা সাবরিনা ও শাহরিমাও উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, গ্রাম আদালতের রায় আইনগত কাঠামোর ভেতরেই পড়ে, যা গ্রাম্য সালিশ থেকে আলাদা। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আইনজীবী ছাড়াই গ্রাম আদালতে মামলা দায়ের করে ন্যায়বিচার পাচ্ছেন। এর ফলে অসহায় ও দুস্থ মানুষ আইনের সহায়তা পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে বর্তমানে গ্রাম আদালত চালু রয়েছে। ইতিমধ্যে এসব আদালতে ১১৯টি মামলা দায়ের হয়েছে এবং ৭১টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ স্বস্তি ও আস্থার সঙ্গে বিচার পাচ্ছেন।
সাক্ষরতা দিবসের আলোচনায় বক্তারা বলেন, শিক্ষার প্রসার ঘটাতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সামাজিকভাবে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সাক্ষর সমাজই পারে দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশ গড়তে।