প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৫, ২১:১৪
বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাসীদের কোনো ঠাঁই হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, সন্ত্রাস দমন এখন সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে এবং এ বিষয়ে কোনো ধরনের শিথিলতা দেখানো হবে না।
সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। প্রায় ৪০ মিনিটের এই বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং কৌশলগত অংশীদারত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের প্রতি আমাদের কোনো সহনশীলতা নেই। যারা দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ দেশের মাটি থেকে সন্ত্রাসের মূল উৎপাটনে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তিনি আরও বলেন, সীমান্ত বা অভ্যন্তরীণ—কোনো পর্যায়েই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে তৎপরতা চালাতে দেওয়া হবে না। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সজাগ রয়েছে এবং যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।
বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ এবং সংস্কার প্রচেষ্টাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে। তার দেশ চায়, বাংলাদেশ একটি সুশাসিত ও নিরাপদ রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের অবস্থান আরও দৃঢ় করুক।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান শুল্ক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিষয়েও আলোচনা হয়। উভয় পক্ষ পরস্পরের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাত নিয়ে ভবিষ্যতে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার আশাবাদ ব্যক্ত করে।
এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা ও সন্ত্রাস দমনে অভিন্ন কৌশল গঠনের ক্ষেত্রেও অগ্রগতি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। বিশেষ করে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ সরকার মনে করছে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ত্রাস দমনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে সরকার অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থার পাশাপাশি বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে।