প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ১৭:০

নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় আলেম-উলামাদের বাধার মুখে ভেঙে ফেলা হয়েছে একটি কথিত মাজারের নির্মাণাধীন কাঠামো। স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতিবাদ এবং প্রশাসনের সহায়তায় অবশেষে মাজারটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আত্রাই-পতিসর সড়কের বাঁকা ডবলব্রিজ এলাকায়, যা সরকারি খাসজমির ওপর অবস্থিত।
জানা গেছে, ওই স্থানে একটি পুরনো নিমগাছকে ঘিরে কিছু মানুষ মান্নত ও পূজার ধরণের কাজ শুরু করে। বিষয়টি ধীরে ধীরে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের রূপ নিতে শুরু করলে বাঁকা গ্রামের এক ব্যক্তি, লিটন (৪০), সেখানে একটি স্থায়ী মাজার নির্মাণের উদ্যোগ নেন। তিনি গত কয়েকদিন ধরে সেখানে কাঠামো তৈরি করছিলেন।
আত্রাই ইমাম উলামা পরিষদের নেতারা ঘটনাটি জানার পর দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানান। মঙ্গলবার তাঁরা সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন এবং মাজার নির্মাণকারী লিটনকে ঘটনাস্থলে এনে তার সম্মতিতে নির্মাণাধীন অংশ ভেঙে ফেলেন। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি সচিব জাহাঙ্গীর আলম খান, আত্রাই থানা পুলিশের সদস্যসহ অনেক এলাকাবাসী।
নির্মাণকারী লিটন স্বীকার করেন, তিনি বিপদ মুক্তির আশায় এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ধর্মীয়ভাবে এটি শিষ্টাচারবিরোধী হবে তা বুঝতে পারেননি। তবে এলাকাবাসীর ও আলেমদের ব্যাখ্যা শুনে তিনি আর এই কাজে অংশ নেবেন না বলে জানান।

আত্রাই ইমাম উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আমিনুল ইসলাম বলেন, এমন স্থানে মাজার নির্মিত হলে মানুষ ভ্রান্ত বিশ্বাসে গিয়ে শরীয়ত পরিপন্থি কাজে লিপ্ত হবে, যা ইসলামের আদর্শের পরিপন্থি। তাই ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষায় আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এটি প্রতিহত করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, সরকারি জায়গায় কোনো স্থাপনা, মাজার বা অন্য কিছু নির্মাণ করা আইনত অবৈধ। বিষয়টি জানার পর আমি সঙ্গে সঙ্গে লোক পাঠিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বলেছি এবং ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনাটির পর এলাকায় স্বস্তির পরিবেশ ফিরে এসেছে এবং প্রশাসনের ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে।