প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ১১:৫৯

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ি সীমান্তে মঙ্গলবার ভোরে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বড়াইবাড়ি সীমান্তের ১০৬৭ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছে নোম্যান্সল্যান্ডে ১৪ জন নারী ও পুরুষকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বিজিবির তৎপরতায় সেই চেষ্টা ভেস্তে যায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভোর রাত চারটার দিকে ভারতের মুরগাঁও জেলার মৃত্তিকির ভিটা থানার বড়বেটা খান্দাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ১৪ জন মানুষকে ঠেলে দেয় বিএসএফ। এদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ এবং ৫ জন নারী রয়েছেন। তারা সীমান্তের শূন্যরেখায় অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে।
পুশইন চেষ্টার সময় কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায় বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী। সকাল ছয়টার দিকে গুলি ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে বিএসএফের বিরুদ্ধে, যা বাংলাদেশের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
বিষয়টি বুঝতে পেরে বড়াইবাড়ি বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা বাধা দেন এবং তৎক্ষণাৎ সীমান্তে কঠোর অবস্থান নেন। তারা স্থানীয়দের সহযোগিতায় শূন্যরেখায় থাকা ওই ব্যক্তিদের বাংলাদেশে প্রবেশ ঠেকিয়ে দেন।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হলেও এখনো কোনো সাড়া দেয়নি বিএসএফ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।

রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনাটি সত্য এবং পুশইন হওয়া ব্যক্তিদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। তারা কোন দেশের নাগরিক, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিজিবি তাদের এখনো শূন্যরেখায় রেখেছে।
স্থানীয় খোরশেদ আলম, ময়জুদ্দিন ও নুরুল হকসহ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তারা ভারতীয় সীমান্ত থেকে লোকজনকে ঠেলে দেওয়ার দৃশ্য দেখেছেন এবং বিজিবিকে প্রতিরোধ করতে দেখেছেন।
বিজিবির জামালপুর ব্যাটালিয়ন-৩৫ এর সহকারী পরিচালক শামসুল হক বলেন, বিএসএফের পুশইনের চেষ্টাকে আমরা প্রতিহত করেছি। তবে গোলাগুলির বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।