প্রকাশ: ৮ মে ২০২৫, ১৭:৪৬
সাভারের পৌর এলাকায় ঘটে যাওয়া একটি ঘটনায় চমকপ্রদ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে ২৩ বছর বয়সী মেয়ে জান্নাত জাহান শিফা তার পিতাকে হত্যা করে পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে সাভারের মজিদপুর কাঠালবাগান এলাকায়, যেখানে আব্দুল কাদের নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি আব্দুর সাত্তার (৫৬), নাটোর জেলার সিংড়া থানার ভগা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ঘাতক মেয়ে জান্নাত তার পিতাকে হত্যা করার পর ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে নিজেই পুলিশের কাছে ঘটনাটি জানায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৫ মাস ধরে আব্দুর সাত্তার এবং তার মেয়ে সাভারে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪ টায় ৯৯৯ ফোন করে জান্নাত পুলিশকে জানায় যে, তিনি তার পিতাকে হত্যা করেছেন। এর পরপরই সাভার মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং নিহত আব্দুর সাত্তারের মৃতদেহ উদ্ধার করে। মেয়েকে আটক করে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়।
পুলিশের বরাত দিয়ে জানা যায়, ঘটনার রাতে মেয়ে জান্নাত তার পিতাকে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে খেতে দেয় এবং পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। জানা গেছে, ২০২২ সালে সিংড়া থানায় একটি ধর্ষণের মামলায় জান্নাত তার পিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে আব্দুর সাত্তার কিছুদিন জেলও খাটেন। ওই ঘটনার পর থেকেই বাবা-মেয়ের মধ্যে সম্পর্ক টানাপোড়েনে পরিণত হয়েছিল, যার ফলস্বরূপ এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
সাভার মডেল থানার ডিউটি অফিসার আব্দুর রশিদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জান্নাতকে আটক করে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত চলছে। পুলিশ জানায়, এই ঘটনা ঘটার পেছনে পূর্ববর্তী পারিবারিক সমস্যাগুলোর প্রভাব থাকতে পারে।
এ ঘটনার পর এলাকায় এক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে, কারণ এ ধরনের ঘটনা সাধারণত স্থানীয় মানুষের মধ্যে অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ সৃষ্টি করে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে এবং ঘটনার পুরো চিত্র উন্মোচনের চেষ্টা করা হচ্ছে।