হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার নোয়াগড় প্রামে পঞ্চায়েত সমিতির টাকার হিসাব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয় এবং প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী তা চলে।
এলাকাবাসী জানায়, শাজাহান মেম্বার ও আক্তার হোসেন পক্ষের লোকজনের মধ্যে পূর্ববিরোধ ছিল। পঞ্চায়েত সমিতির অধীন জমি, পুকুর, বিলের ইজারা ও প্রজেক্টের অর্থ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই ধারাবাহিকতায় শাজাহান মেম্বারের পক্ষের ধানবাহী গাড়ি আটকানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী লাঠিসোটা, ইট-পাটকেল দিয়ে চলা এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান চালায়।
জানা যায়, সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে সাদ্দাম, তকছির, ওয়াহিদুল, রসিদ, ধনু, কোহিনুর, সেলু, জাহাঙ্গীরসহ বহু মানুষ আছেন। গুরুতর আহত ১১ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আশপাশের ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ইউনিয়নের বর্তমান মেম্বার মুকিত মিয়া বলেন, এলাকাবাসী পঞ্চায়েত সমিতির টাকার হিসাব চাইলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত লতিফুর মেম্বার গরিমসি করছিলেন। এছাড়া নির্ধারিত অর্থের চেয়ে অতিরিক্ত আদায়ের বিষয়েও অভিযোগ রয়েছে, যা উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয়।
এদিকে, স্থানীয় মেম্বার শাজাহান ও আক্তার হোসেন পক্ষের লোকজন পরস্পরকে দোষারোপ করেছেন এবং নিজেদের আহতদের জন্য দায়ী করছেন। সংঘর্ষের কারণে এলাকায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএম মাঈদুল হাসান জানান, সংঘর্ষের ঘটনা পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।