প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৫০
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এক যুবক প্রেমে ব্যর্থ হয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। নিহত যুবকের নাম মাহামুদুর হাসান (২৫), যিনি জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার ছোট সোনাইমুড়ী গ্রামের খলিলুর রহমান মহুরী বাড়ির মো. হারুন অর রশীদের ছেলে। বৃহস্পতিবার রাতে মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মাইজদীর হাউজিং বালুর মাঠ এলাকার নুর মহলের তৃতীয় তলায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাহাদুর চৌমুহনী বাজারের একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিং দোকানে কাজ করতেন এবং মাইজদীতে এক রুম ভাড়া নিয়ে বাস করতেন। তিনি এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে তিনি গত কয়েকদিন ধরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সবার অগোচরে নিজের ভাড়া বাসার একটি নির্মাণাধীন কক্ষের জানালার গ্রিলে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুর ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
স্থানীয়দের মতে, মাহাদুর হাসান শান্ত ও ভালো স্বভাবের একজন যুবক ছিলেন। তার এমন পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না প্রতিবেশীরা। পরিবার ও স্থানীয়রা এই ঘটনায় শোকাহত।
মাহাদুরের সহকর্মীরা জানান, তিনি কাজের জায়গায় সবসময় হাসিখুশি থাকতেন, তবে গত কয়েকদিন ধরে তাকে খুব চুপচাপ দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে কেউ আলাদা করে কিছু জিজ্ঞেস করেনি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে মানসিক ভেঙে পড়া আত্মহত্যার একটি বড় কারণ হতে পারে। এ ধরনের ঘটনা এড়াতে প্রয়োজন পারিবারিক সাপোর্ট ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা।
এই ঘটনা যুবসমাজের জন্য একটি সতর্কবার্তা। মানসিক চাপ মোকাবিলায় সঠিক পরামর্শ ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সমাজে এমন দুঃখজনক ঘটনা আর না ঘটুক, এটাই সকলের প্রত্যাশা।