প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২১, ০:১৮
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাকা সড়ক সুগন্ধ্যা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ। হঠাৎ করে পাকা সড়ক বিলীন হওয়ায় যানচলাচল বন্ধ হওয়ায় চরম দূভোর্গে পড়েছে হাসপাতালের কর্মচারীসহ এলাকাবাসী। শুক্রবার বিকালে ৫শত গজ এলাকা জুড়ে পাকা সড়কে ফাটল দেখা যায়। শনিবার সকালে হঠাৎ ৫ শত গজ এলাকা জুড়ে পাকা সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে হাসপাতালের সঙ্গে যানচলাচল বন্ধ হওয়ায় হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ।
প্রত্যক্ষদর্শী রাকিবুল ইসলাম রনি খান জানান, শুক্রবার বিকেল প্রায় ৫০০ গজ এলাকা জুড়ে পাকা সড়কে ফাটল দেখা গেছে। শনিবার সকালে ৫শত গজ এলাকা জুড়ে পাকা সড়ক সুগন্ধ্যা নদীতে দেবে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় দেহেরগতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, রাস্তা ভেঙে নদী থেকে অনেক দুর পর্যন্ত ডেবে গেছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে হাসপাতালে যাওয়ার একমাত্র সড়কটি। এর আগে ওই স্থানে ভাঙ্গন প্রতিরোধে জরুরি কাজের নামে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন কবলিত এলাকায় বালু ভর্তি জিওব্যাগ নদীতে ফেললেও ভাঙন ঠেকানো যায়নি।
এলাকাবাসীরা বলেন, সুগন্ধ্যা নদীর ভাঙনে ঘরবাড়িসহ ফসলি অব্যাহত ভাঙ্গনে ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে বাবুগঞ্জ উপজেলার মানচিত্র। প্রতিদিন সুগন্ধ্যার বুকে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদী তীরবর্তী বসতবাড়ি ফসলি জমিসহ বহুস্থাপনা। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও নদী সংলগ্ন দুটি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ভাঙ্গনরোধে দ্রত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগীরা বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের চরসাধুকাঠি, বাহেরচর ঘোষকাঠি, উত্তর রাকুদিয়া সহ নদী সংলগ্ন গ্রামের বহু ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, মসজিদ, নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সুগন্ধ্যার অব্যাহত ভাঙ্গনে বহু পরিবার তাদের শেষ আশ্রয়টুক হারিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে পরেছেন। নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করায় প্রতিনিয়ত ভাঙ্গন বেড়েই চলেছে। ভূক্তভোগীরা ভাঙ্গনরোধে দ্রত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।