প্রকাশ: ২৮ মে ২০২১, ১৭:২
সাতক্ষীরা উপকূলের জান-মালের সুরক্ষায় অবিলম্বে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয়রা। এ সময় ‘ভাসতে চাই না, বাঁচতে চাই’, ‘উপকূলের কান্না, শুনতে কি পান না’ সহ নানা ধরণের প্লাকার্ড প্রদর্শণ করেন শিশু-কিশোর সহ নানা বয়সী মানুষ।
আজ শুক্রবার (২৮ মে) সকাল ১০টার দিকে জেলার শ্যামনগর উপজেলার পাতাখালী পয়েন্টে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধের ওপর এ অবস্থান কর্মসূচি করা হয়।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা ‘ভাসতে চাই না, বাঁচতে চাই’, ‘জলবায়ু তহবিল কাদের জন্য? জবাব চাই’ ‘একবারই মরবো, বার বার নয়’, ‘উপকূলের কান্না, শুনতে কি পান না’, ‘নিরাপদে বাঁচার নাই কি আমার অধিকার?’ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এ সময় প্রতীকী লাশ হয়ে প্রতিবাদ জানান উপকূলের বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহ, ইয়াসির আরাফাত, সালাউদ্দিন, মাহি ও সালাউদ্দিন জাফরী।
উপকূলের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ম্যানগ্রোভ স্টুডেন্ট সোসাইটি আয়োজিত এ অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি আরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শাহিন বিল্লাহ, তরিকুল ইসলাম, মুহতারাম বিল্লাহ, মুতাসিম বিল্লাহ, হাসানুল বান্না প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বিগত ১২ বছর ধরে উপকূলের মানুষ ভাসছে। প্রতিবারই এমন পরিস্থিতিতে কর্তা ব্যক্তিরা শুধু আশ্বাসের বুলি আওড়ান। নানান ধরনের মেগা প্রকল্পের গল্প শোনান। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উপকূলের মানুষকে বাঁচাতে টেকসই বেড়িবাঁধের বিকল্প নেই।
বক্তারা আরও বলেন, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে ব্যর্থ হলে সাতক্ষীরা উপকূলীয় অঞ্চলকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিন। আমরা বারবার নয়, একবারই মরতে চাই।
সিডর, আইলা, ফনী, বুলবুল, আম্পান ও সবশেষে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্টি জলোচ্ছ্বাসে নদীর জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে শতাধিক গ্রাম। ভেসে গেছে হাজার হাজার হেক্টর জমির মৎস্য ঘের। বিধ্বস্ত হয়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।